1. mdjoy.jnu@gmail.com : admin : Shah Zoy
  2. satvsunamgonj@gmail.com : Admin. :
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
  •                          

হাওরাঞ্চলের কথা ইপেপার

ব্রেকিং নিউজ
বিয়ানীবাজার এসোসিয়েশন ইতালি নাপলীর কার্যকরী কমিটি ঘোষণা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নানান অনিয়ম দুনীতির মামলাটি তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত উত্তরপূর্ব পত্রিকার মেকআপম্যান অমিতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডরস গ্রুপ গোলাপগঞ্জ শাখার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত সিলেটের গোলাপগঞ্জে ইউপি সদস্যের হামলায় আব্দুল মালিক নামের এক কৃষক আহত, জোরপুর্ক জমি দখলের পায়তারা কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে হবিগঞ্জ থেকে হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হওয়ায় সিলেট পুলিশ সুপারকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সংবর্ধনা সুনামগঞ্জে ১১ সাংবাদিকের প্রশিক্ষন সনদ ফেরত দিলেন সিলেট প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন- নতুন সভাপতি ইকু সভাপতি সিরাজুল পলাতক আসামী হাজির ও মালামাল ক্রোকের বিজ্ঞপ্তি

সুনামগঞ্জ-২ দিরাই শাল্লা আসনে সেন পরিবারের অধর্শতাব্দি প্রতিনিধিত্ব অবসানের পথে!

Reporter Name
  • আপডেট করা হয়েছে রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি:

উন্নয়ন বঞ্চিত দিরাই শাল্লাবাসীর ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে নৌকার কান্ডারি হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছেন দিরাই শাল্লার মানুষের বিশ্বস্থ ও সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য শাল্লা উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও শাল্লা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল আমিন চৌধুরী)কে। যদিও মাঠে বিরোধী দলের উল্লেখযোগ্য নেতা নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেনি। তারপরও নিজ দলীয় এমপি ও সাবেক বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী ড জয়া সেন গুপ্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা পড়ছেন বিপাকে।

প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে ‘সেন পরিবার’ জাতীয় সংসদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কিন্তু দিরাই শাল্রাবাসীর সার্বিক উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন হয়েছে সেন পরিবারের অভিযোগ স্থানীয়দের।

পাকিস্তান আমলে সেই সত্তরের নির্বাচন থেকে হাওর-ভাটির দুর্গম জনপথ দিরাই-শাল্লার আসনটি একচ্ছত্রভাবে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দখলে ছিল। মোট আটবার তিনি সুনামগঞ্জ-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। বামপন্থার ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত এই এলাকায় তিনি সবার কাছেই ‘সেনবাবু’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সকলেই তাকে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা দিয়ে বার বার সংসদে পাঠিয়েছিল কিন্তু কাঙ্খিত উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এমপি ধাকাবস্থায় বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ২০১৭ সালে মারা যান। তাঁর শূণ্য আসনে উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তার স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তা।
একাদশ জাতীয় সংসদে তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফলে বলা যায়, প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে ‘সেন পরিবার’ জাতীয় সংসদের এই এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-২ আসনে পরিবর্তন করে তরুন সমাজসেবী শাল্লা উপজেলার কৃতি সন্তান ও শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরীকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন।
আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আওয়ালীগের মনোনয়ন পেয়েই ছুটে চলছেন গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। নাওয়া খাওয়্ ছেড়ে যাচ্ছেন ভোটার ও কর্মীদের দ্বারে দ্বারে। চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টির ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করতে দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। পাচ্ছেনও সাধারন মানুষের ভালবাসা ও সমর্থন। ইতিমধ্যে তিনি মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন বলে স্থানীয় ভোটার ও দলীয় নেতাকর্মীরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। দীর্ঘদিন পর এই আসনে এমন পরিবর্তনে আবার আলোচনায় ফিরে এসেছেন প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও তার পরিবার।

স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক সময় দিরাই-শাল্লা ছিল বাম রাজনীতির ঘাঁটি। সেখান থেকে সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী অক্ষয় কুমারকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

সংসদে প্রজ্ঞাপূর্ণ বক্তব্য ও বাগ্মিতা তাকে জাতীয়ভাবে পরিচিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।। আস্তে আস্তে তিনি হয়ে উঠেন একজন সংবিধান বিশেষজ্ঞ। তিনি ন্যাপ, গণতন্ত্রী পার্টি ও আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ৮ বার।

১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংসদ নির্বাচনে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সামাদ আজাদকে পরাজিত করে ন্যাপ থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। সে সময় সুরঞ্জিত পেয়েছিলেন ৮০ হাজার ৮২০ ভোট আর আব্দুস সামাদ আজাদ পেয়েছিলেন ৪৫ হাজার ১৭২ ভোট। ১৯৭৯ সালে তিনি আবারও ন্যাপ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় নির্বাচনেও তিনি ন্যাপ থেকে নির্বাচিত হন।

১৯৯১ জাতীয় নির্বাচনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত গণতন্ত্রী পার্টি থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সনের ১২ জুনের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগে যোগদানের পর স্থানীয় আওয়ামী লীগে বিভেদের কারণে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী নাসির উদ্দিন চৌধুরীর কাছে মাত্র ৫০৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন।
তিনি পেয়েছিলেন নৌকা প্রতীকে ৫৮ হাজার ৪৯৬ ভোট এবং নাসির উদ্দিন চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছিলেন ৫৯ হাজার ভোট।

তবে এই সংসদেই পাশের বানিয়াচং-আজমীরিগঞ্জ আসনে তিনি উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা হয়েছিলেন।

২০০১ , ২০০৮ এবং ২০১৪ জাতীয় নির্বাচনেও তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন। সবশেষ তিনি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও ছিলেন।

২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারী তিনি মারা গেলে তার স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তা নির্বাচিত হন। পরে একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও তার স্ত্রী বিজয়ী হন।

এবার এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ; যিনি পুলিশের আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ছোট ভাই। তাদের বাবা আব্দুল মান্নান ছিলেন শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহচর।

স্বাভাবিকভাবেই চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মনোনয়ন পাওয়ায় তার শিবিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। হাতশায় পড়েছেন জয়া সেনগুপ্তের অনুসারীরা।
স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের ধারনা, দিরাই শাল্রা আসনে
সুনামগঞ্জ-২: ‘সেন আমলের’ অবসান ঘটতে যাচ্ছে।
শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ মো. অলিউল হক জানান, “আমরা অর্ধ শতাব্দী ধরে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সঙ্গে রাজনীতি করেছি। তার হাত ধরে এই আসনে আওয়ামী লীগ সংগঠিত হয়েছে। এটা অস্বীকারের উপায় নেই। দল যাকে নৌকা প্রতিক দিয়েচেন তাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে চাই।

“তার স্ত্রী চাইলে তাদের সন্তান সৌমেন সেনকে সামনে নিয়ে আসতে পারতেন। সৌমেনের দুই উপজেলাতেই গ্রহণযোগ্যতা ছিল। কিন্তু তিনি সেটা না করে নিজেই নেতৃত্ব দিতে চেয়েছিলেন। তবে বয়সের কারণে তিনি বাদ পড়েছেন।

অলিউল হক আরও জানান, “এবার নেত্রী যাকে প্রার্থী করেছেন তিনিও পরীক্ষিত আওয়ামী পরিবারের সন্তান। রাজনীতির পাশাপাশি পারিবারিকভাবেও তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। আশা করছি নৌকার বিজয় হবেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন