1. mdjoy.jnu@gmail.com : admin : Shah Zoy
  2. satvsunamgonj@gmail.com : Admin. :
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন
  •                          

হাওরাঞ্চলের কথা ইপেপার

ব্রেকিং নিউজ
সিলেটের চাঞ্চল্যকর দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিত হত্যায় জড়িত একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নতুন চেয়ারম্যান সুনামগঞ্জের অধ্যাপক ডা.উবায়দুল কবীর বিয়ানীবাজার এসোসিয়েশন ইতালি নাপলীর কার্যকরী কমিটি ঘোষণা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নানান অনিয়ম দুনীতির মামলাটি তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত উত্তরপূর্ব পত্রিকার মেকআপম্যান অমিতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডরস গ্রুপ গোলাপগঞ্জ শাখার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত সিলেটের গোলাপগঞ্জে ইউপি সদস্যের হামলায় আব্দুল মালিক নামের এক কৃষক আহত, জোরপুর্ক জমি দখলের পায়তারা কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে হবিগঞ্জ থেকে হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হওয়ায় সিলেট পুলিশ সুপারকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সংবর্ধনা সুনামগঞ্জে ১১ সাংবাদিকের প্রশিক্ষন সনদ ফেরত দিলেন

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নানান অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত ৮জনের নামে আদালতে মামলা

Reporter Name
  • আপডেট করা হয়েছে বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নানান অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) তৎসহ ১৬১/১৬৪/৪০৬/৪০৯/৪২০/১০৯ দন্ডবিধি, ১৮৬০ আইনে সিনিয়র স্পেশাল জজ ও সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে একই প্রতিষ্ঠানের সাবেক আউটসোসিং কর্মচারী মো: ইসলাম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আজ বুধবার সকালে মামলাটি রুজু করা হয়। পিটিশন মোকদ্দমা নং ০২/২০২৪ইং।

মামলার আসামীরা হলেন হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও বির্তকিত কর্মচারী ইসরাইল আলী উরফে ইসরাইল আলী সাদেক (৪০) আমিনুল ইসলাম (৪৫) (অন্য মামলায় দুজনে জেলে আছে), সুমন চন্দ্র দেব (৪১), সিলেট জেলা পুলিশের সদস্য (ডিএসবি) জনী চৌধুরী (৪২), ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখার সাবেক ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক মোঃ নাজমুল হাসান (৩৫), ওয়ার্ড মাস্টার রওশন হাবিব (৪৬), সিকিউরিটি গার্ড মোঃ আব্দুল জব্বার (৫১) ও সর্দার মোঃ আব্দুল হাকিম সুমন (৪৯) নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত ৫/৬জনকে আসামী করে মামলা করা হয়। বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও সিলেট জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট কানন আলম। আসামীরা সবাই সামান্য বেতনভোগী কর্মচারী হওয়ার পর ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন।
বাদী পক্ষে আইনজীবী এডভোকেট কানন আলম বলেন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সিনিয়র স্পেশাল জজ ও সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে দুদক আইনে ৮জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
আসামীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় পত্রিকা ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে গোয়েন্দা সংস্থার চুলছেড়া বিশ্লেষনের মাধ্যমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সম্মতিতেই আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে যে সকল তথ্য ও প্রমাণাদি উপস্থাপন করা হয়েছে তাদের মধ্যে প্রধান আসামী সিনিয়র স্টাফ নার্স ও বির্তকিত কর্মচারী ইসরাইল আলী উরফে ইসরাইল আলী সাদেক (৪০) বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো: সাদেক স্টাফ নার্স হলেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে ওসমানী হাসপাতালের একচত্র ক্ষমতার অধিকারী এবং অবৈধভাবে রাতারাতি শত শত কোটি টাকার মালিক হয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। ক্ষমতার দাপটে কাউকে কোনো তওয়াক্কা করতেন না। এক কথায় আসামী ইসরাইল আলী উরফে ইসরাইল আলী সাদেক নিজেকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অঘোষিত মালিক ও নিজেকে মুকুটহীন সম্রাট মনে করতেন। হাসপাতালে সংঘটিত এমন কোনো অপরাধ নাই যেখানে ইসরাইল আলী উরফে ইসরাইল আলী সাদেক দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে না। সাদেক নিয়োগ বাণিজ্য, মহিলা নার্সদের কর্মস্থলে ও কর্মস্থলের বাহিরে যৌন হয়রানী, যৌন্য নির্যাতণ,যৌনতা, পর্ণ ভিডিও ও স্থির চিত্র তৈরি, ভুয়া বিল প্রস্তুত করে উপপরিচালকের নামে অর্থ আত্মসাৎ, করোনা কালীন সময়ে হোটেল ভাড়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ, করোনা সামগ্রী ক্রয়ের নামে টাকা আত্মসাত, করোনায় নার্সদের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ/টাকা আত্মসাৎ, বিভিন্ন ক্রয় ও টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সরকারী অর্থ আত্মসাৎ, ভর্তিকৃত রোগীদের ও রোগীর অভিবাবকদের জিম্মি করে টাকা আদায় ও টাকা আত্মসাৎ, ভর্তি রোগীদের অপারেশনের সিরিয়াল পাইয়ে দেওয়ার নামে ও দ্রুত অপারেশন করিয়ে দেয়ার কথা বলে রোগী ও রোগীর গার্ডিয়ানদের নিকট থেকে টাকা আদায় করে তা গ্রহণ করে সরকার কর্তৃক অপারেশনে ব্যবহৃত কতেক ঔষধ বিনা মূল্য রোগীদের প্রদান না করিয়া ঐ ঔষধ বাহির থেকে রোগী ও রোগীর গার্ডিয়ান্দের মাধ্যমে ক্রয় করাইয়া আনিয়া তাহা অন্যান্য আসামীদের মাধ্যমে ও সহযোগীতায় অজ্ঞাতনামা আসামী এবং দালালের মাধ্যমে হাসপাতালের বাহিরে নির্ধারিত কয়েকটি ফার্মেসিতে নিজস্ব অজ্ঞাতনামা আসামীদের মাধ্যমে বিক্রি করিয়া ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করিয়াছেন। আসামীদের অন্যায় আচরণে, অপরাধে, দুর্নীতিতে, সরকারী এই সেবামূলক প্রতিস্টানের সুনাম ওঁ সুক্ষ্যাতি দিন দিন ক্ষুন্ন্ করে দিয়েছে। দীর্ঘ দিন যাবত সাদেক কর্তৃক নির্ধারিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাথে যোগাযোগী করে রিপোর্ট কারসাজি করতেছে, অর্থের বিনিময়ে পুলিশ কেইসের রোগীদের মেডিকেল সার্টিফিকেট টেম্পারিং করিয়াছে, রোগীদের মেডিকেল সার্টিফিকেট টেম্পারিং করে অর্থ আত্মসাৎ করিয়াছেন, টেন্ডার বাণিজ্য , চাঁদাবাজি, ওটিতে নিজস্ব কর্মচারী নয়োগ করিয়া/বদলি করিয়া/রোস্টার করে রোগী ও রোগীর গার্ডিয়ানদের জিম্মি করে অবৈধ অর্থ/টাকা আত্মসাৎ করিয়াছেন এবং টাকার বিনিময়ে হাসপাতালে কর্মে নিয়োজিত কর্মচারীদের দায়িত্ব ও পদায়ন, রোস্টার বন্টন করিয়া কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে টাকা ইনকাম করেছেন। বিমান যোগে নিয়মিত ঢাকা সিলেট, সিলেট ঢাকা রুটে চলাচল করতেন। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর ঢাকা কর্তৃক প্রেরিত বিগত ২০/১১/২০২৩ খ্রি তারিখের ঝঙগঈঐ এর নার্সিং শাখা বরাবরে ওসমানী হাসপাতালের নার্সিং শাখায় চলমান নানাবিধি অনিয়ম ও অভিযোগের প্রতিকার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিভিন্ন তথ্যদি চেয়ে প্রেরিত চিঠি খানা সাদেক অজ্ঞাতনামা আসামীদের সহযোগিতায় অন্যান্য আসামীদের সহযোগে লাপাত্তা/লোপাট করে দিয়েছিল। সাদেক ওসমানী হাসপাতালের সব ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত। সাদেক পুলিশ কনষ্টেবল জনী চৌধুরী ওসমানী মেডিকেলে সকল অপরাধের মাস্টারমাইন্ড এবং সকল অপরাধে সহায়তাকারী আমিনুল ইসলাম ও সুমন চন্দ্র দেব সাদেক এর হাতের পুতুল হিসেবে ব্যবহৃত হতো। সাদেক এর স্বত্ব, দখলিয় মালিকানাধীন সিলেট শহরের বিভিন্ন মৌজায় নামে বেনামে ৬—৭টি বহুতল বিল্ডিং রয়েছে। তার স্ত্রী সন্তানদের নামে বেনামে রয়েছে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ। রোগী পরিবহন ও মাদক,আগ্নেয়াস্র ব্যবসার জন্য সাদেকের নামে বেনামে মালিকানাধীন ৩৫—৪০টি নিজস্ব এয়াম্বুলেন্স রয়েছে (যাহার বাজার মূল্য আনুমানিক ২০ কোটি টাকা)।
মামলার আসামী জনি চৌধুরী সম্পর্কে যে সব তথ্য উঠে এসেছে তাদের মধ্যে জনী চৌধুরী, বিপি নং— ৯০১১১২৮৯১০, ডিএসবি, সিলেট জেলা ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত এবং বাংলাদেশ পুলিশের রেঞ্জ ডি আই জি সিলেট অফিসে সংযুক্ত। সে পেশায় একজন পুলিশ কন্সটেবল। আসামী সাদেক এর সহযোগিতায় এবং কোনো এক অদৃশ্য শক্তি ও ক্ষমতার জোড়ে পুলিশ কনষ্টেবল জনী চৌধুরী দীর্ঘ ১০ বছর যাবত সিলেট জেলায় ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের নামে বিভিন্ন অপরাধ্মুলক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুন্ন্ করে ওসমানী হাসপাতালের ভিতরে ও বাহিরে দালালী, চুরি, ছিনতাই, চুরি করার জন্য চুরদের অর্থের বিনিময়ে প্রতিদিন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে অবস্থান করানো, রোগী ও রোগীর অভিভাবকদের অর্থ চুরি করতে সহায়তা করা ও চুর ধরা পরলে চোরকে থাকে থানায় প্রেরণের নামে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধিদের সাথে জড়িত হয়ে মানহীন পণ্য সরবরাহ করা, টেন্ডার বাণিজ্য, মানহীন পণ্য ক্রয় করতে ও ব্যবহার করতে রোগীদের বাধ্য করা, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসার কেন্দ্র হিসেবে ওসমানী হাসপাতালকে ব্যবহার , হাসপাতালের ভিতরে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা করতে সহায়তা এবং অবৈধ অস্ত্র ও মাদকদের ডেলিভারি স্থান হিসেবে ওসমানী হাসপাতালের বিভিন্ন স্থান ও ওয়ার্ডকে সেইফ জায়গা হিসেবে ব্যবহার করে অত্র মামলার সমূহ আসামী সহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের সহিত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকিয়া ওসমানী হাসপাতালকে অপরাধের স্বর্গ রাজ্য হিসেবে ব্যবহার করিয়া আসিয়াছেন। আসামী জনী চৌধুরী এর অপরাধমূলক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে ০৪নং আসামী প্রতিবাদকারী কে মাদক মামলায় ফাসিয়ে দেয় এবং ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে সিলেট মহানগরী আইন দিয়ে গ্রেফতার করে মারপিট করে মামলা দিয়ে থানায় সোপর্দ করেন এবং আসামীদের নিজস্ব টর্চার সেলে নিয়ে মারাত্মকভাবে মারপিট ও জখম করে এবং প্রাণে হত্যা করিয়া লাশ গুম করার হুমকি প্রদান করে এবং প্রতিবাদ কারী যাতে ভাল চিকিৎসা না পায় সেই জন্য অন্যান্য আসামী সহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের দিয়ে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করাহতো। ওসমানী হাসপাতালের ভর্তি রোগীদের কৃত্তিম চিকিৎসা সংকট সৃষ্টি করে ভর্তি রোগীদের হাসপাতালের বাহিরে প্রাইভেট উন্নত চিকিৎসা করাইয়া দিবে মর্মে দালাল সেটিং করিয়া রোগী ও রোগীর গার্ডিয়ানদের নিকট হইতে জোড় পূর্বক টাকা গ্রহণ করিয়া শত কোটি টাকার অবৈধ মালিক হইয়েছেন। সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানাধীন কানিশাইল আবাসিক এলাকায় পুলিশ কন্সটেবল জনী চৌধুরীর নিজস্ব জূয়ার আসর রয়েছে। সেখান থেকে তার প্রতিদিন ১—২ লক্ষ টাকা অবৈধ ইনকাম রয়েছে। সিলেট শহরের বিভিন্ন মৌজায় পুলিশ কন্সটেবল জনী চৌধুরীর ২টি বহুতল বাড়ি রয়েছে (যাহার বাজার মূল্য আনুমানিক ১১ কোটি টাকা), ৪টি গাড়ি রয়েছে (যাহার বাজার মূল্য আনুমানিক ২ কোটি টাকা) এবং সিলেট রিকাবিবাজারস্থ জেলা স্টেডিয়াম মার্কেটে দি ল্যাব এইড নামীয় ০১টি ডায়াগনপস্টিক সেন্টার রয়েছে (যাহার বাজার মূল্য আনুমানিক ৩ কোটি টাকা), ৩ (তিন) লক্ষ টাকা দামী ইয়ামাহা ব্রেন্ডের এফ জেড ভি থ্রি মডেলের কাগজবিহীন মোটর বাইক রয়েছে। আসামী জনী চৌধুরী একজন পুলিশ কন্সটেবল হয়েও ওসমানী হাসপাতালে ডিউটি করিয়া সাদেক সহ অন্যান্য আসামীদের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হইয়া অবৈধভাবে শত শত কোটি টাকার নামে বেনামে মালিক হইয়াছে। জনি চৌধুরীর বেনামে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখার সাবেক ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক ডা: নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো মধ্যে : মোঃ নাজমুল হাসান ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্ণিত অপরাধ চক্রের সন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। মোঃ নাজমুল হাসান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। স্কুল ও কলেজ জীবনে সে বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের সাথী ছিল বলেও তার সহপাটি বন্ধু বান্ধবরা জানিয়েছেন। নাজমুল হাসান সীমাহীন দুর্নীতি, টেন্ডার বাণিজ্য, অনিয়ম, মাদক ব্যবসা, আবাসিক হলে রেখে ইন্ডিয়ান শাড়ির ব্যবসা, চুরাই মোটর বাইকের ব্যবসা, আবাসিক হলে—কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে বাহিরে মাদক আগ্রেয়াস্রের ব্যবসা, ছাত্রী ও নার্সদের যৌন নির্যাতন, যৌন নিপিড়ন সহ নানবিধি অপরাধের জন্য তার ছাত্রলীগের কমিটিকে কেন্দ্র থেকে ভেঙ্গে দেয়া হয়। ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সাদেক ও জনী এর সহযোগিতায় তার ছিল একচত্র রাজত্ব। মোঃ নাজমুল হাসান সাদেক জনী সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য হিসেবে ওসমানী হাসপাতাল ও কলেজে টেন্ডার বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, টেন্ডার বাণিজ্য, অনিয়ম, মাদক ব্যবসা, আবাসিক হলে রেখে ইন্ডিয়ান শাড়ি ব্যবসা, চুরাই মোটর বাইকের ব্যবসা, আবাসিক হলে—কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে বাহিরে মাদক/আগ্রেয়াস্রের ব্যবসাকরে আসছেন। সে একজন ছাত্র হিসেবে তার ব্যাংক হিসাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ রয়েছে। যাহার মালিক সে নিজে এবং সাদেক জনী সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য হিসেবে সে এই অবৈধ টাকা ইনকাম করে এই অবৈধ সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে অপরাধজনক কাজের সাথে জড়িত রয়েছে। সে ২০১৫ সালে প্রশ্ন পত্র পাশের সাথে জড়িত হয়ে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। অনিয়ম ও দুর্নীতি করে সে প্রতিটা পর্বে পাশ করেছে। মেডিকেল শিক্ষক বোর্ড গঠন করে তার পরিক্ষার খাতা, ভাইভা,প্রফ মূল্যায়ন করলে প্রমাণ পাওয়া যাবে যে, তার কোনো যোগ্যতা নাই এম বি বি এস পরিক্ষার প্রতিটা প্রফ পাশ করার। অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ঘুষ ও ক্ষমতার দাপটের সাথে মোঃ নাজমুল হাসান এম বি বি এস পরিক্ষার প্রতিটা প্রফ পাশ করেছে। সে বিষয়ে তদন্ত হওয়া একান্ত আবশ্যক। এছাড়াও অন্যান্য আসামীদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারী প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করা হয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
হাসপাতালের সিন্ডিকেট বানিজ্যের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা রুজু হওয়ায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগী কামরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ বছর পর এই হাসপাতালের নানান অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সঠিকভাবে তদন্তপূর্বক ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানাই। সেই সাথে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি করার সাহস না পায় সেদিকেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ আইনশৃংখলা বাহিনী সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করার দাবী জানাই। রাহুমুক্ত করা হউক এই হাসপাতালটিকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন