মেহদি, সিলেট নগরীর লন্ডনি রোডের এই তরুণ আক্রমণাত্মক ব্যাটার হিসাবে পরিচিত। তবে, মাহা ১ম বিভাগ ক্রিকেট লীগ ২০২৩-২৪’র ১৯শ ম্যাচে বল হাতে তিনি গড়েছেন অসাধারণ এক রেকর্ড। ৮ অভার বল করে মাত্র ১৬ রান খরচা করে তুলে নিয়েছেন ৭ উইকেট! মেহদির অসামান্য বোলিং নৈপূণ্যের দিনে ঐতিহ্যবাহী জিমখানা ক্লাব ইয়ুথ সেন্টারকে ২৫৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে জয়ধারা অব্যাহত রেখেছে।
টস জয়ের পর ইয়ুথ সেন্টার জিমখানাকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায়। দলীয় ১ রানে ১ম উইকেট হারালেও ২য় উইকেটে বক্কর এবং ইফতেখার ৭৫ রান তুলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দায়িত্ব পালন করেন। বক্কর ৪৫ রান করে শাকিলের বলে আউট হলে এই জুটি ভাঙে।
৩য় উইকেটে মাত্র ১০.১ অভারে ৮০ রান তোলেন ইফতেখার এবং মেহদি, জুটিতে মেহদির অবদান ছিলো ৪৯ রান! মাত্র ২৮ বলে ৩টি চার আর ৫টি ছক্কায় বিস্ফোরক এই ইনিংসটি সাজিয়েছেন ডানহাতি মেহদি।
৫৭ রান করে ইফতেখার যখন বিদায় নেন তখন জিমখানার স্কোর ছিলো ২১২/৪, তার পরে মূলত ইনফর্ম ব্যাটার গালিবের ব্যাটে চড়ে শেষ দিকে ঝড় তোলে জিমখানা। শেষের ১০ অভারে ৯৩ রান তোলে জিমখানা। মাত্র ৫৮ বলে ৮৮ রান করে রান তোলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন গালিব। হাঁকিয়েছেন ৮টি চার, ৩টি ছক্কা। আগের ম্যাচেই ঝড়ো ফিফটি করা সাঈদও ব্যাট চালিয়েছেন স্বভাবসুলভ ভঙিতে। ৩ চার আর ১ ছক্কায় তুলে নিয়েছেন ৩২ রান।
৫০ অভার শেষে জিমখানা ৩১০ রান সংগ্রহ করে ৮ উইকেট হারিয়ে।
ইয়ুথ সেন্টারের সালমান ২টি, ফাহাদ, সাদমান, রাজন, শাকিল, জাফরুল ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
রানপাহাড়ের চাপ না সামলাতে পেরে হুড়মুড়িয়ে ধ্বসে পড়ে ইয়ুথ সেন্টারের ব্যাটিং লাইন আপ। মেহদি (১৪), রায়হান (১২) ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের স্কোর করতে পারেননি। টেনেটুনে ইনিংসের প্রায় এক তৃতীয়াংশ ব্যাট করেই অলআউট হয় ইয়ুথ সেন্টার। ১৬.২ অভারে মাত্র ৫৫ রান তুলেছে ইয়ুথ সেন্টার।
মেহদির ৭-উইকেট শিকারের দিনে আরিফ ২টি, গালিব ১টি উইকেট পেয়েছেন।
অনন্যসাধারণ অলরাউন্ড নৈপূণ্য দেখিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার লাভ করেন জিমখানার মেহদি।