1. mdjoy.jnu@gmail.com : admin : Shah Zoy
  2. satvsunamgonj@gmail.com : Admin. :
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন
  •                          

হাওরাঞ্চলের কথা ইপেপার

ব্রেকিং নিউজ
সিলেটের চাঞ্চল্যকর দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিত হত্যায় জড়িত একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নতুন চেয়ারম্যান সুনামগঞ্জের অধ্যাপক ডা.উবায়দুল কবীর বিয়ানীবাজার এসোসিয়েশন ইতালি নাপলীর কার্যকরী কমিটি ঘোষণা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নানান অনিয়ম দুনীতির মামলাটি তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত উত্তরপূর্ব পত্রিকার মেকআপম্যান অমিতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডরস গ্রুপ গোলাপগঞ্জ শাখার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত সিলেটের গোলাপগঞ্জে ইউপি সদস্যের হামলায় আব্দুল মালিক নামের এক কৃষক আহত, জোরপুর্ক জমি দখলের পায়তারা কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে হবিগঞ্জ থেকে হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হওয়ায় সিলেট পুলিশ সুপারকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সংবর্ধনা সুনামগঞ্জে ১১ সাংবাদিকের প্রশিক্ষন সনদ ফেরত দিলেন

সিলেটের রাজপথে হিজরাদের ওপেন চাঁদাবাজী

Reporter Name
  • আপডেট করা হয়েছে রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০২৩
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্কঃসিলেটের রাজপথে হিজরাদের ওপেন চাঁদাবাজী দৌরাত্ব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছেনা কোন ভাবে। দিন দিন বাড়ছে তাদের অত্যাচারের মাত্রা। অনুসন্ধানে জানা যায় হিজরার নামে দেওয়া গাড়িগুলো হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক রানা ভুইয়া। নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার বান্দনাল আফিয়া এলাকার কোণা গ্রামের মৃত জুবেদ আলীর পূত্র সবল পুরুষ রানা ভুইয়া (৪৫)। হিজরা পরিচয়ে নাম দিয়েছে রাণী মুখার্জি। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা লাউয়াই এলাকায় হিজরা নামে গড়ে তুলেছে ভাড়াটিয়া বাসায় রাজ সিংহাসন। সেই সিংহাসেনের একমাত্র রাণী সেই রানা ভুইয়া। অথচ সে একজন সবল সুস্থ্য পুরুষ। নেত্রকোনার বাড়িতে রয়েছে তার স্ত্রী ও দুই সন্তান। সিলেটে এসে সে দিনের বেলা হিজরাদের রাণী মুখার্জি এবং রাতে হয়ে যায় রানা ভুইয়া।

একজন স্বচ্ছল সুঠামদেহী ও প্রজনন ক্ষমতার অধিকারী পুুরুষ রানা ভুইয়া নিজেকে হিজরা সাজিয়ে সিলেটে গঠন করেছে একটি ভুয়া হিজরা চক্র। বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়ে আসা সন্ত্রাসী ও দাগী অপরাধীদের জড়ো করে হিজরা নাম দিয়ে রানা ভুইয়া চালিয়ে যাচ্ছে চাঁদাবাজিসহ রকমফের অপরাধ অপকর্ম। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের চোখে ধূলো দিয়ে চালিয়ে তার রামরাজত্ব। হিজড়া বলে রানা চক্রকে সব ধরণের ছাড় দিয়ে চলছে পুলিশ ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা। অথচ রানা ভুইয়া আদৌ কোনো হিজরা নয় এবং তার সহযোগীরাও সবল পুরুষ। প্রতারক রানা ভুইয়া ও তার সহযোগী প্রতারকরা জোর-জবরদস্থিমূলক বাগিয়ে নিয়েছে প্রকৃত হিজরাদের সামাজিক ও প্রশাসনিক সকল সুযোগ সুবিধা। জবরদখল করে নিয়েছে হিজরাদের নামে বরাদ্দকৃত ১৭ টি ভ্যান দোকান। তার দলে ৪০ টিরও বেশি ছেলে রয়েছে। এদের সকলকে হিজড়া বানিয়ে সিএনজি দিয়ে প্রতিদিন চাঁদাবাজির জন্য রাস্তায় পাঠায়। এই ভুয়া হিজড়ারাই নগরীর অলিতে গলিতে চাঁদাবাজি করে বেড়ায়।

এরা এয়ারপোর্ট রোডে বিদেশ যাত্রীদের গাড়ি আটক করে বড় অংকের চাঁদা আদায় করে। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় বিয়ের গাড়ি আটক করে টাকা আদায় করে থাকে। যদি কোন লোক টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে সাথে সাথে তারা উলঙ্গ হয়ে যায়। সম্মানের ভয়ে মানুষ টাকা দিতে বাধ্য হয়। এই সকল টাকা প্রতিদিন রাতে ভাগ বাটোয়ারা হয়। অর্ধেক টাকা রানা ভুঁয়ার বাকি তাদের।

অভিযোগে প্রকাশ, রানা ভুইয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে উপহার হিসাবে হিজড়াদের দেওয়া ভ্যান গাড়িগুলো সে একাই ভোগ-ব্যবহার করে চলেছে। এই গাড়ি গুলো দিয়ে কোন হিজড়াদের ব্যবসা করতে দিচ্ছে না সে।

জানা গেছে, নগরের ফুটপাতে ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে হিজরাদের জন্য দেওয়া হয়েছে ১৭ টি ভ্যান গাড়ি। পুলিশ ও প্রশাসন দয়া বশত ফুটপাতে হিজরাদের ভ্যান দোকান বসানোর সুযোগ দিয়েছে। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কম্পাউন্ডে ১টি, নগরীর জিন্দাবাজারে ২ টি, কীনব্রিজ মোড়ে সুরমার ওয়াকওয়েতে ২ টি, কাজির বাজার ব্রিজের দুুই পাশে ৪ টি, জালালাবাদ পার্কের সামনে ১টি, উপশহরে ২টি-সহ নগরের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে ও ফুটপাতে হিজরাদের নামে ভ্যান দোকান বসানো হয়েছে। এসব দোকানের আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত হিজরারা। রানা ভুইয়া হিজরা নামে ভ্যান প্রতি দৈনিক ৮শ’ টাকা করে আদায় করে নিজে একাই ভোগ করছে। হিজরা নামে সে দেশের বাড়িতে করেছে কোটি টাকার সম্পত্তি। এ সম্পত্তি ভোগ করছে স্ত্রী-সন্তানসহ তার স্বজনরা। অথচ ভ্যানগাড়ি গুলো মূলত দেওয়া হয়েছিল হিজড়াদের ভালো মানুষ হওয়ার জন্য। তারা ব্যবসা করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। কিন্তু কোন হিজড়াই এই গাড়িগুলো দিয়ে ব্যবসা করছে না। বরং গাড়ি উপহার দাতাদের ধোকা দিয়ে গাড়ি দিয়ে ব্যবসার বদলে আরও বড় বড় অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে রানা ভুইয়া ও তার ভুয়া হিজরারা। বর্তমানে রানা ভুইয়ার জবর দখলে রয়েছে হিজরাদের নামে দেওয়া আল হারামাইন-এর ছয়টি গাড়ি।

সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতাল কম্পাউন্ডে কোনো দোকান বসাতে দেওয়া হয় না। কিন্তু হিজরা নামে দুইটি ভ্যানগাড়ি বসানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই দোকান দুটি বসিয়ে সবল পুরুষ রানা ভুইয়া গাড়ি প্রতি দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ১ হাজার টাকা। হিজরা নামে ওসমানীর পরিচালকের চোখে ধুলো দিয়ে চলেছে রানার ভুয়া হিজরা চক্রটি। তারা হিজড়াদের নামে দোকান বসিয়েছে ঠিকই, তবে কোন হিজরাই এই গাড়িগুলো দিয়ে ব্যবসা করছে না। এমনকি প্রকৃত হিজরারা এগুলোর ভাড়া ও আয় ভোগ করছে না। গাড়ি দুটির মধ্যে একটির ভাড়া নেয় প্রতারক রানা ভুইয়া ও অপরটির ভাড়া নেয় হিজরা নামে শাহিদা শিকদার নামের আরেক মহিলা প্রতারক। এতে করে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত হিজরারা। শাহিদা শিকদার মূলত একজন নারী এবং রানা ভুইয়া অবিকল এক পুরুষ। এদের কেউই হিজরা নয়। হিজরা পরিচয়দানকারী রানা ভূইয়ার বিরুদ্ধের তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট্য হয়ে এসএমপি’র কোতোয়ালী মডেল থানা সহ একাধিক থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন সিলেট হিজড়া কল্যাণ সংস্থার সভাপতি সুন্দরী হিজড়া।

এদিকে নগরীসহ জেলার সর্বত্র হিজড়াদের চাঁদাবাজির যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ বিয়ের গাড়ি ও সাধারণ মানুষ। তাদের চাঁদাবাজির কারণে অনেক জায়গায়ই লাঞ্চিত হচ্ছে অনেক শত শত ভদ্র পরিবার। লোক লজ্জার ভয়ে অনেক সময় চুপ করে নিরবে সয়ে যান অনেকে। আবার অনেকে প্রতিবাদও করেন। প্রতিবাদকারীদের সাথে হিজরাদের আচরণ হয়ে যায় একেবারেই অশালিন। বিশেষ করে বিয়েসহ যে কোন অনুষ্ঠান হলেই সে স্থানে তাদের আগমন হয়ে যায় এক প্রকার ক্যাডারের মত। এ সব অনুষ্ঠানে হাজার টাকার নিচে দিলেই শুরু হয় অত্যাচার। বিয়ের গাড়িতে রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন হিজড়াদের চাঁদাবাজ দল। বরের গাড়ি দেখা মাত্র শুরু করেন তাদের অশ্লীল কান্ড। এতে গাড়ি রাস্তায় এবং বিয়ের সেন্টার থেকে দফায় দফায় বড় অংকের চাঁদা আদায় করেন হিজড়া নামধারী সন্ত্রাসীরা। মান-সম্মানের ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। সাধারণ মানুষের সহানুভুতি, সহযোগিতা ও সহায়তার ওপর নির্ভর করেই চলে হিজড়া সম্প্রদায়ের জীবনযাপন। তবে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে দোকানিদের ওপর হামলে পড়া, বিয়েসহ সামাজিক অনুষ্ঠান, বাসাবাড়িতে নবজাতকের আগমনের খবরে দলবলে হাজির হয়ে পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায়, যৌন প্রতারণা, যে কোন বিনোদনস্থানে কাউকে জিম্মি করে অবাঞ্ছিত দৃশ্যের অবতারণা করে সর্বস্ব লোপাট করে।

এছাড়া সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সামনে, রাস্তার পাশে দোকানে, ফুটপাতের দোকানে জোর করে তারা চাঁদাবাজি করছে। বাসাবাড়ি গিয়ে হিজরারা চাঁদা চাচ্ছেন, টাকা না দিলে হুমকিসহ নানা ধরনের অশ্লীল ভাষা ও অঙ্গভঙ্গি করে এক ধরনের অস্বস্থিকর চাপ সৃষ্টি করে টাকা-পয়সা দিতে বাধ্য করছেন তারা। হিজরারা বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নামে বিভক্ত হয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করছেন। গেল কয়েক মাস ধরে তাদের মাত্রাতিরিক্ত অসদাচরণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন নগরবাসী। এমন ঘটনা প্রতিদিন সিলেটের কোথাও না কোথাও ঘটছে। একাধিক সংঘবদ্ধ চক্রের সহযোগীতায় দিনে দুপুরে কয়েকটি গ্রæপে ভাগ হয়ে চলে চাঁদাবাজিসহ অনৈতিক কর্মকান্ড। কমিশনের লোভে চক্রের সদস্যরা নগরীর বাসা-বাড়ি ও কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ে সহ সামাজিক অনুষ্ঠানের খবর মোবাইলে জানিয়ে দিচ্ছে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে পৌছে বকশিসের অজুহাতে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির ঘটনা বেড়েই চলেছে। সিএনজি অটোরিকশা চালক, কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন দোকানদার সহ নানা মাধ্যম থেকে মুঠোফোনে সামাজিক অনুষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করে সেখানে উপস্থিত হয় হিজড়ার দল।সিলেটে হিজড়া প্রতিমাসে নগরের সব ধরণের দোকানে দল বেঁধে হানা দিয়ে মাসিক চাঁদা তুলা অব্যাহত রেখেছে বিভিন্ন গ্রæপের তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা।

চাঁদা না পেলে আগত ক্রেতা ও দোকানির সামনে একসাথে সবাই হাতে তালি দিয়ে নিজেদের পড়নের কাপড় খোলার ভয় দেখিয়ে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। ছাড় পাচ্ছেনা রেলে যাতায়াতকারীরা ও ফুটপাতের দোকানদাররাও। পঞ্চাশ কেজি চালের প্লাস্টিকের বস্তা ধরে দুজন সামনে হাটে আর অন্যান্য সদস্যরা কিছু না বলে ফল, সবজি, পেঁয়াজ সহ যা দেখছে দু-চার-ছয়টা করে বস্তায় ভরে চলে যাচ্ছে। চক্ষুলজ্জা ও মানসম্মানের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ বা তাদের প্রতিহত না করায় নির্ভয়ে ইচ্ছে মত লুটতরাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সিলেট শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিয়ের গাড়ির অপেক্ষায় ওঁত পেতে হিজরাদের বসে থাকতে দেখা যায়। গাড়ি বহর দেখামাত্র জীবনের মায়া ত্যাগ করে তারা হুমড়ি খেয়ে সামনে পরে গাড়ি থামাতে বাধ্য করে। এতে করে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও শহরের বাহিরে সিলেটের পর্যটন স্পট বিছানাকান্দি, সাদাপাথর জাফলং এ বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে সেখানেও হিজরারা সক্রিয়। যদিও চাঁদাকে তারা বকশিস বলে প্রচার করে।

একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে এদের অধিকাংশ ভুয়া ও রূপান্তরিত হিজড়া। প্রতারণা ও চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে হিজড়ার ছদ্মবেশ ধারণ করে অনেকে লাখপতি কেউবা কোটিপতি বনে গেছে। রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে অনেকে রূপান্তরিত হয়ে কেউ আবার ছদ্মবেশ ধারণ করে হিজড়া হিসেবে চাঁদাবাজি করছে। শহরে হিজড়াদের ১৫ থেকে ২৫ টি গ্রæপ রয়েছে। প্রত্যেক গ্রæপের নির্দিষ্ট এলাকায় সীমানা ভাগ করা আছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব হিজড়াদের নেতৃত্ব দিচ্ছে রানা হিজড়া, শাহিদা শিকদার হিজরা, সুন্দরী হিজড়া, রাণী মুখার্জী হিজড়া ও কালি হিজড়া সহ নামে বেনামে তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা। জানা যায়, ২০১৮ সালে কদমতলীর বহুতল ভবন কুইন্স টাওয়ারে ফ্লাট কিনে বসবাস করছে সুন্দরী হিজড়া। সেখান থেকে সুদের ব্যবসা ও হিজড়াদের প্রায় সব কটি গ্রæপ পরিচালনা করতেন। তবে এখন তার কাছ থেকে অনেক হিজরা চলে গিয়ে গড়ে তুলেছেন নতুন নতুন গ্রæপ। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে সরকার ও বিভিন্ন চ্যারিটি সংগঠন বিভিন্ন সময় উপঢৌকন, প্রণোদনা, আর্থিক সহযোগিতা করার পাশাপাশি আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেয়।

বিগতদিনে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগীতায় সুন্দরী হিজড়ার মাধ্যমে আটটি আধুনিক চটপটি বিক্রির ভ্যান গাড়ী দেয়া হয়। কিছুদিন পর সে গাড়ির হদিস পাওয়া যায় নি। গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সুবহানীঘাট থেকে তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য তুষার আহমদের লাশ উদ্ধার হয়। তুষারের বড় ভাই হিমেল আহমদ রাফি জানিয়ে ছিলেন,তার ছোটভাই নারী ছদ্মবেশে হিজড়াদের সাথে মিশে চলাফেরা করতো। সে প্রকৃত হিজড়া নয়। টাকার নেশায় তুষারের মত যুবকরা হিজরা সেজে জড়িয়ে পরছে অপরাধমূলক কর্মকান্ড,অভিযোগ আছে, দক্ষিণ সুরমার এক অংশের নেতৃত্বদানকারী রানা হিজড়া প্রকৃতপক্ষে একজন পুরুষ।

সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াস শরীফ বিপিএম (বার)-পিপিএম বলেন, জেলা প্রশাসক ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের সমন্বয়ে এব্যাপার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। যারা হিজড়া সেজে প্রতারণা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন