1. mdjoy.jnu@gmail.com : admin : Shah Zoy
  2. satvsunamgonj@gmail.com : Admin. :
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন
  •                          

হাওরাঞ্চলের কথা ইপেপার

ব্রেকিং নিউজ
বিয়ানীবাজার এসোসিয়েশন ইতালি নাপলীর কার্যকরী কমিটি ঘোষণা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নানান অনিয়ম দুনীতির মামলাটি তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত উত্তরপূর্ব পত্রিকার মেকআপম্যান অমিতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডরস গ্রুপ গোলাপগঞ্জ শাখার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত সিলেটের গোলাপগঞ্জে ইউপি সদস্যের হামলায় আব্দুল মালিক নামের এক কৃষক আহত, জোরপুর্ক জমি দখলের পায়তারা কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে হবিগঞ্জ থেকে হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হওয়ায় সিলেট পুলিশ সুপারকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সংবর্ধনা সুনামগঞ্জে ১১ সাংবাদিকের প্রশিক্ষন সনদ ফেরত দিলেন সিলেট প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন- নতুন সভাপতি ইকু সভাপতি সিরাজুল পলাতক আসামী হাজির ও মালামাল ক্রোকের বিজ্ঞপ্তি

শুদ্ধাচার র‌্যাংকিংয়ে শাবিপ্রবি দ্বিতীয় স্থান অর্জন: প্রো ভাইস চ্যাঞ্জেলর প্রফেসর ড.কবির হোসেন’র ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকার

Reporter Name
  • আপডেট করা হয়েছে রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১২২ বার পড়া হয়েছে

 

বিশেষ প্রতিনিধি:

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) র‌্যাংকিংয়ে দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে সিলেট বিভাগের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি। গত ২০২১—২২ অর্থ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়টি তালিকার ৩৬তম অবস্থান থেকে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৭ দশমিক ৯১ নম্বর পেয়ে ফলাফলের দিক থেকে ২য় অবস্থানে উঠে এসেছে। এতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক—শিক্ষার্থীসহ সিলেটবাসী খুশি। গেল বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই মূল্যায়নের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।  শতভাগ স্কোর করে প্রথম হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং  শতকরা ৯৫.৯৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছয়টি ক্যাটাগরির মধ্যে কৌশলগত উদ্দেশ্য সমূহে ৭০, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনায় ১০, ই—গভর্ননেন্স/উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনায় ১০, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা কর্মপরিকল্পনায় ৪, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনায় ৩, তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনায় ৩ মিলিয়ে মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে এ র‌্যাংকিং প্রকাশ করা হয়। শতকরা ৯৭.৯১ স্কোর করে র‌্যাংকিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে শাবিপ্রবি।

এ প্রসঙ্গে নবনিযুক্ত প্রো ভিসি প্রফেসর ড.করিব হোসেন দৈনিক হাওরাঞ্চলের কথা’র সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে  বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত করণের অংশ হিসেবে শুদ্ধাচার কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩ বছর পূর্বে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করে প্রতিটি ইট পাথর ও মাটির সাথে আমার রক্ত মিশে আছে। আমিই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক প্রোভিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২০ একর জমির প্রতিটি টিলা, গাছ পালা ও মাটির সাথে আমার রক্ত জড়িয়ে আছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যখন কোন ভাল খবর হয় তখন আমাকে সুখী মানুষ হিসেবে মনে হয়। আমি সিলেটের মাটি ও মানুষকে ভালবেসে আমার উপর উর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছি। এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ছাত্রবান্ধব পরিকল্পনাগুলো বেশী পছন্দ করি। যেমন ক্যাম্পাসকে সুন্দর রাখা নিট এন্ড ক্লিন রাখা। ক্যাম্পাসের সবুজ ঘাস এবং নালা গুলোকে লেকে রূপান্তরিত করে ছাত্র—ছাত্রীদের আনন্দ দেয়া। ছাত্রদের সাইকেলগুলোকে এলোমেলোভাবে না রেখে সুশৃংখলভাবে রাখার ব্যবস্থা করা। ছাত্র—ছাত্রীদের বিভিন্ন চাহিদা পুরণ করা। লেকগুলোকে ঝরনার আবেশে লাইটিং করে যেন পদ্মফুল ফুঠে সেভাবে সাজাতে চাই। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের বর্তমান ভাইস চ্যাঞ্জেলর এর তত্বাবধানে সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলো যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কর্মচারী থাকার কোন অভাব হবে না। গুণগত মান বজায় রাখতে গেল বছর ৭শ জার্নাল প্রকাশনা করা হয়েছে। সরকার অনেক সহযোগিতা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মান আরও বাড়ানোর জন্য শিক্ষকরা তৎপর রয়েছেন। সময়মত ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা, পরীক্ষা নেয়া, সময়মত রেজাল্ট দেয়া, শিক্ষার্থীদেরকে ৪ বছরের মধ্যে অনার্স মাস্টার্স পাস দেয়া  এবং শিক্ষার্থীরা যেন অতিসহজে বাইরে যেতে পারে সে দিকে আমার তৎপরতা থাকবে। বাইরে গিয়ে কিংবা দেশে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা জীবন শেষ করে যেন সাথে সাথে  জব মার্কেটে ঢুকতে পারে এবং মা বাবাকে কিছু দিতে পারে সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। এ দেশের মাটি ও মানুষকে ভালবেসে এ দেশের খেদমত করতে পারে সেদিকেও নজর দেয়া হচ্ছে। আমার পরিকল্পনায় আরও আছে, অতীতে যারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্ভিস দিয়ে গেছেন তাদের প্রতিও আন্তরিক হওয়া এবং তাদের স্মৃতিকে স্মরণ করে রাখতে চাই। উদাহারন স্বরূপ সাবেক ভাইস চ্যাঞ্জেলর সদর উদ্দিন আহমেদ স্যার। উনার সময়েই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। উনাকে স্মরণ করলে একজন শিক্ষাবিদকে মূল্যায়ন করা হবে। যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি ও মানুষকে ভালবেসে গেছেন তাদেরকে স্মরণে রাখতে  চাই। তাদের স্মৃতি ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পরিশেষে শুদ্ধাচার পালনের মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেক দুর এগিয়ে নিতে চাই। সকলের সহযোগিতায় এই বিশ্ববিদ্যালয় যেন একটি বিশ্বমানের বিদ্যালয়ে পরিনত হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যেতে চাই। তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমকমীর্রাও আমাদের এই অর্জনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করে আসছেন। আমি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন