স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুর্নীতির তিন কুতুবের দুই কুতুব ধরা পড়লেও ধরা ছোয়ার বাইরে মুল হোতা সাদেক। রহস্যজনক কারণে তাকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ। গোয়েন্দা সংস্থার অভিযানে হাসপাতালের দুই কর্মচারী আটক হলেও মুল হোতা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। এ নিয়ে সাধারন কর্মচারীসহ সাধারন মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। ৯ জানুয়ারী সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঘুষের ৬ লাখ টাকাসহ দুই আমিনুল ও সুমনকে আটক করলেও সুচতুর সাদেক রয়েছেন ধরা ছোয়ার বাইরে।
এ ঘটনায় হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকতার্ মোহাম্মদ হানিফ বাদী হয়ে তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করলে দুইজনকে পুলিশ রিমান্ডে আনলেও তাদের জিজ্ঞাবাদের পরিবর্তে জামাই আদর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। মামলা প্রধান আসামি বাংলাদেশ নার্সিং অ্যাসোসিয়েশন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সেক্রেটারি ইসরাইল আলী সাদেক এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় চরম হতাশায় রয়েছে সাধারন কর্মচারীরা।
হাসপাতালের পরিচালক মেজর জেনারেল ডা. মাহবুবুল আলম ভুঁইয়া জানান, কর্মরত একজন সহকর্মীর এরিয়ার বিল সংক্রান্ত ব্যাপারে অবৈধ লেনদেন হচ্ছিল। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থাটি অভিযান চালায়। তারা জানতেন, লেনদেনের সময় ইসরাইল আলী সাদেক উপস্থিত থাকবেন কিন্তু শেষ মুহুর্তে ধুর্ত সাদেক নিজে উপস্থিত না হয়ে আমিনুল ও সুমনের মাধ্যমে অবৈধ লেনদেনের কাজটি সারতে চেয়েছিলেন।
উল্লেখ্য. সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপালে নানা দুর্ণীতি, অবৈধ লেনদেন, হাসপাতালের ঔষধ চুরি ও মোটা অংকের চাঁদাবাজীর সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে সাদেকের সংশ্লিষ্টতার কথা শোনা যায়। কিন্তু অত্যন্ত চতুর ও প্রভাবশালী এই নার্স নেতা বারবারই উর্ধ্বতন মহলে প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত রেখেছেন। একসময় তার কিছু না থাকলেও এখন তিনি শ’শ’ কোটি টাকার মালিক বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানায়।
কোতোওয়ালী থানার সাব—ইন্সপেক্টর রাশেদ ফজল জানান, প্রধান আসামী সাদেককে গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান
এ ব্যাপারে কোতোওয়ালী থানার ওসি মঈন উদ্দিন রিপন জানান, ওসমানী হাসপাতালের ঘুষ কেলেংকারীর সাথে জড়িত পলাতক আসামী সাদেককে গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।