1. mdjoy.jnu@gmail.com : admin : Shah Zoy
  2. satvsunamgonj@gmail.com : Admin. :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন
  •                          

হাওরাঞ্চলের কথা ইপেপার

ব্রেকিং নিউজ
জহিরিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রুহুম আমিন ছিলেন জ্ঞানের সাগর— স্মরণ সভায় বক্তারা মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নানান অনিয়মের দায়ে আইসক্রিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা তাহিরপুরে কুকুরের কামড়ে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ অন্তত ১৬ জন আহত, দ্রত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী প্রকৌশলী হতে চায় শাহরিয়ার তায়্যিব টানা ৩য় বারের মতো শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হলেন ওসি হারুনূর রশিদ চৌধুরী সিলেটে এসএমপি ডিবি পুলিশের অভিযানে ৭ জুয়ারীকে গ্রেফতার সুনামগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগে জনবল নিয়োগে আবারও অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ সিলেটের চার উপজেলায় চার চেয়ারম্যানসহ নির্বাচিত হলেন যারা— অবশেষে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন সোহেল করিমা ও সুইট সিলেটের চাঞ্চল্যকর নিশা হত্যার মুল আসামীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

দিরাইয়ের ‘সুদখোরদের যন্ত্রণায় আমি এই পথ বেছে নিলাম’ –সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৌম্য চৌধুরী

Reporter Name
  • আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩
  • ১৪২ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি:

অনুমোদিত ও ব্যক্তি পর্যায়ে চড়া সুদে স্থানীয় মহাজনদের কাছ থেকে ধার নিয়ে বিপাকে পড়ে অনেক গণ্যমান্য ও প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা। তেমনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৌম্য চৌধুরী (৬০) আত্মহত্যা করেছেন। অসুস্থ্য অবস্থায় শনিবার গভীর রাতে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল রোডের ফূলবাড়িয়া এলাকা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে রাতেই মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগে তিনি তার নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন দিরাইয়ে কিছু মানুষের নাম উল্লেখ করেন,‘ সুদখোরদের যন্ত্রণায় এই পথ বেছে নিলাম আমি।’ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাতটা) তার মরদেহ দিরাইয়ে পৌঁছায়নি। সৌম্য চৌধুরী মৃত্যুর একদিন আগে তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন ‘আমার এমন পরিণতির জন্য দায়ী দিরাইয়ের হবিবুর রহমান এবং জসিম উদ্দিন। হবিবুরের কাছ থেকে আমি টাকা এনেছিলাম। তা সুদ করেছি দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশারফ মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে। এরপর আমি অসুস্থ্য হয়ে পড়ি, সুস্থ্য হয়ে জানতে পারি, ওদের টাকার জন্য আমার উপর মামলা হয়ে গেছে। ওদের টাকার জন্য আমি পথে বসেছি। হবিবুর একজন নিচু সুদখুর। সুদের টাকায় দিরাইয়ে তিনটি বাড়ি করেছে সে। জসিম উদ্দিন নামে আরেকজনের নাম উল্লেখ করে বলেন, সে ২৯ লাখ টাকা কোথা থেকে পেলো তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। তিনি এই দুই সুদখোরসহ দিরাই কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সজল দাস, অসিত দেব নাথ, চিনি ঠাকুর ও পুতুল দাসের নাম উল্লেখ করে লিখেন, ওরা সুদের ব্যবসা করে, মানুষ বিপদে পড়লে শতকরা ১০ টাকা হারে সুদে টাকা লাগায়। তিনি ওদের বিচারও দাবি করেন।

কমলগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, সৌম্য চৌধুরীকে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল রোডের ফুলবাড়িয়া এলাকার সড়কের পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় টহল পুলিশ শনিবার রাতে উদ্ধার করে। এসময় তিনি ক্ষিণকণ্ঠে কেবল দিরাইয়ের রাজানগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান পরিচয় দিচ্ছিলেন। সৌম্য চৌধুরী’র স্ত্রী ইলা চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট থেকে ফোন দিয়ে তার স্বামী বলছিলেন, আমি আদালতে আত্মসমর্পণ করবো। আমি জেলে যাব। আমার তো তুমি ছাড়া কেউ নেই। আমাকে এসে দেখে যেও। তুমি তোমার বাবার বাড়িতে চলে গেলেই ভালো হবে। ইলা চৌধুরী জানান, তার স্বামী হবুর কাছ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়ে পাঁচলাখ টাকা দেবার পরও তারা ২৯ লাখ টাকা পাওয়ার মামলা করেছে। সে বাড়ীতে থাকতে পারে না। দিরাইয়ে যেতে পারে না। তাকে পুলিশ খোঁজে বেড়ায়। চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তাকে মদ খাইয়ে চেক ও খালি স্টাম্পেসহ নানা কাগজে সই নিয়েছিল। হবুর টাকা আমার স্বামী দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশারফ মিয়াকে নিয়ে পরিশোধ করেছেন। মোশারফ মিয়া এই প্রসঙ্গে বলেন, সৌম্য চৌধুরীর কাছে হবুর পাওনা টাকার বিষয়টি পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে, পরে আরও এক লাখ টাকা দেবার শর্তে সুরাহা হলেও চেক ডিজওনার মামলা রয়েই গিয়েছিল।

জসিম উদ্দিন জানান, আমার চার লাখ টাকা পাওনা ছিল, বাকী টাকা হবুর ছিল, স্থানীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ২৯ লাখ টাকায় সমাধানের সুরাহা হওয়ায় সৌম্য চৌধুরী’র কাছ থেকে চেক নেওয়া হয়েছিল। দিরাই থানার ওসি মুক্তাদীর আহমদ জানান, সৌম্য চৗধুরী সাজাপ্রাপ্ত গ্রেপ্তারী পরোয়ানার আসামী ছিলেন। ফেসবুকে তিনি যাদের নাম লিখেছেন, তাদের কারো কারো সঙ্গে তার মামলা চলছিল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন