1. mdjoy.jnu@gmail.com : admin : Shah Zoy
  2. satvsunamgonj@gmail.com : Admin. :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন
  •                          

হাওরাঞ্চলের কথা ইপেপার

ব্রেকিং নিউজ
জহিরিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রুহুম আমিন ছিলেন জ্ঞানের সাগর— স্মরণ সভায় বক্তারা মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নানান অনিয়মের দায়ে আইসক্রিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা তাহিরপুরে কুকুরের কামড়ে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ অন্তত ১৬ জন আহত, দ্রত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী প্রকৌশলী হতে চায় শাহরিয়ার তায়্যিব টানা ৩য় বারের মতো শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হলেন ওসি হারুনূর রশিদ চৌধুরী সিলেটে এসএমপি ডিবি পুলিশের অভিযানে ৭ জুয়ারীকে গ্রেফতার সুনামগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগে জনবল নিয়োগে আবারও অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ সিলেটের চার উপজেলায় চার চেয়ারম্যানসহ নির্বাচিত হলেন যারা— অবশেষে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন সোহেল করিমা ও সুইট সিলেটের চাঞ্চল্যকর নিশা হত্যার মুল আসামীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ১০৫ তম জন্মবার্ষিকী আজ

Reporter Name
  • আপডেট করা হয়েছে শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ১০৫ তম জন্মবার্ষিকী আজ ১ সেপ্টেম্বর। ১৯১৮ সালের এই দিনে বাবা খান বাহাদুর মফিজুর রহমানের কর্মস্থল সুনামগঞ্জে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জে।যৌবনে তিনি ব্রিটিশ আর্মিতে যোগ দেন। তিনি ছিলেন বাঙালিদের মধ্যে ব্রিটিশ আর্মির সর্বকনিষ্ঠ মেজর। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে থাকাকালে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। চট্টগ্রাম সেনানিবাসের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।

বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে সত্তরের ঐতিহাসিক নির্বাচনে এমএনএ নির্বাচিত হন এমএজি ওসমানী। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর প্রধান হিসেবে অসামান্য কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালের ২৬ ডিসেম্বর তাকে বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সের জেনারেল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৭২ সালে দায়িত্ব থেকে অবসর নিয়ে বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন। ১৯৭৩ সালের সংসদ নির্বাচনেও বিজয়ী হন তিনি। ১৯৭৪ সালে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। পরে বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে ১৯৭৫ সালে সংসদ সদস্য পদ ও আওয়ামী লীগের সদস্যপদ ত্যাগ করেন। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৯ আগস্ট খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান। তবে ৩ নভেম্বর জেলহত্যার ঘটনার পর ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৬ সালে জাতীয় জনতা পার্টি নামে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।

এমএজি ওসমানী ১৯৭৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পরে ১৯৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এম এ জি ওসমানী মৃত্যুবরণ করেন। তাকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় সিলেটে হযরত শাহজালাল(র.) দরগাহ গোরস্থানে দাফন করা হয়। তার সম্মানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ, ওসমানী বিমানবন্দর ও নগরীর ধোপাদিঘীর পাড় এলাকায় ওসমানী শিশু পার্ক ও ওসমানী জাদুঘর রয়েছে।

এদিকে, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও জাতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ১০৫ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় জনতা পার্টির জাতীয় কমিটি, সিলেট জেলা, মহানগর এবং অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে হযরত শাহজালাল রহঃ মাজার সংলগ্ন ওসমানীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বাদ আছর জাতীয় জনতা পার্টির জাতীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি এডভোকেট তাহমিনুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলাম মর্তুজা, প্রফেসর আব্দুল মুহিত, সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আকলিছ আহমদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বকুল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক তুহিন আহমদ, মহানগর কমিটির সভাপতি সাবের সফকত জাহান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান শফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ চৌধুরী, সিলেট জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য কামাল তালুকদার, মহানগর কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম, শেখ নজরুল ইসলাম, আব্বাস উদ্দিন, জাহিদ নূর, আজাদ চৌধুরী প্রমুখ।

পরে পার্টির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল এমএজি ওসমানী, সদ্যপ্রয়াত পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট নুরুল ইসলাম খান, জেলা কমিটির সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মতিন চৌধুরীসহ অন্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন