নিউজ ডেস্কঃ কৈলাশ ইলেকট্রনিক্স বিডি এবং হাওয়া বেগম এতিমখানা ও অসহায় কেন্দ্র এর উদ্যোগে দিনব্যাপী ২য় ফ্রি চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকালে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের মুকিতলা গ্রামে হাওয়া বেগম এতিমখানা ও অসহায় কেন্দ্রে দ্বিতীয় ফ্রি চক্ষু শিবিরের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব।
কৈলাশ শাহনুর দাখিল মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দেওয়ান সুন্নতুল হকের সভাপতিত্বে ও ওমর ফারুকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৈলাশ ইলেকট্রনিক বিডি ও হাওয়া বেগম এতিমখানার সিইও প্রিন্স আব্দুল মুকিত।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ৭নং লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলকুর রহমান, জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ আল আমীন, শালিসী ব্যক্তিত্ব আব্দুল খালিক, মাওলানা ক্বারী গিয়াস উদ্দিন, সাংবাদিক জাকারিয়া তালুকদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন
জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চুক্ষ রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ আল আমিন এর নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক দিনব্যাপী চক্ষু শিবিরে কানাইঘাট, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত প্রায় ৪ শতাধিক চক্ষু রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। রোগীদের মধ্যে ফ্রি ঔষধও বিতরণ করা হয়। হাওয়া বেগম এতিমখানা ও অসহায় কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা, কৈলাশ ইলেক্ট্রনিক্স বিডি ও ফাস্ট চয়েস ইলেক্ট্রনিক্স বিডি’র সত্ত্বাধিকারী প্রিন্স আব্দুল মুকিত বলেন, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের ২৫% এতিমখানা ব্যয় করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ফ্রি চক্ষু শিবির প্রতি ইংরেজি মাসের শেষে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। কৈলাশ ইলেকট্রনিক বিডির ব্যবসার লভ্যাংশ থেকে চক্ষু রোগীদের এই সেবা প্রদান করা হবে।
প্রধান অতিথি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব চোখের রোগ এড়াতে সবাইকে চোখের প্রতি যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মানুষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ চোখ। কাজেই চোখের কোন সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন। চোখের যত্ন নেওয়া আমাদের দায়িত্ব। সমাজের অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেয়া একটি মহৎ কাজ। আর সেই চোখের যত্নে কৈলাশ ইলেকট্রনিক্স বিডি ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প পরিচালনা করে যাচ্ছে। যা প্রশসংসনীয়। তিনি এই সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি তিনি আহবান জানান।