ডেস্ক নিউজ:: কিনব্রিজে টিনের বেড়া, কতটুকু কাজের অগ্রগতি। চলছে ঐতিহ্যবাহী কিনব্রিজের সংস্কার কাজ। সংস্কার কাজ শেষে নতুন রুপে আবারও ফিরবে কিনব্রিজের। গত ১৭ আগস্ট থেকে ব্রিজটির দুই প্রবেশমুখে ব্যারিকেড দয়ে কাজ শুরু করে রেলওয়ে বিভাগ। তবে সেই ব্যারিকেড ডিঙিয়ে ব্রিজ দিয়ে আসা যাওয়া করতেন সাধারণ মানুষ। যার ফলে সংস্কা কাজের বিঘ্ন ঘটত। তাই ব্রিজের প্রবেশ মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে টিন দিয়ে। ব্রিজ বন্ধ থাকায় সুরমা নদী নৌকা দিয়ে পারাপার করছেন হাজারো মানুষ।
২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঝুকিপূর্ণ সেতুটির দুই দিকে লোহার বেষ্টনী দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে সিটি করপোরেশন। তবে নাগরিকদের প্রতিবাদের মুখে বন্দের কিছুদিন পরেই যান চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেয়া হয়।
ব্রিটিশ আমলে লোহার কাঠামোর দৃষ্টিনন্দন এই সেতুটি নির্মাণ করেছিল রেলওয়ে বিভাগ। টানা দুই বছর নির্মাণকাজ শেষে ১৯৩৬ সালে সেতুটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন আসাম প্রদেশের গভর্নর মাইকেল কিনের নামে এই সেতুর নামকরণ হয় কিনব্রিজ। প্রায় ৯ দশক ধরে সচল সেতুটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন এবং সিলেট অঞ্চলে সুরমা নদীর ওপর প্রথম সেতু। এর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ১৫০ ফুট এবং প্রস্থ ১৮ ফুট। মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেতুটি ১৯৭৭ সালে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ প্রথম দফা সংস্কার করেছিল।
গত ২৫ জুলাই সেতু বন্ধের ঘোষণা দিলেও কয়েক দফা পিছিয়ে এমাসের ১৬ তারিখ থেকে ব্রিজটি বন্ধ করে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল।
সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কিনব্রিজের সংস্কার কাজ চলছে পুরোদমে। আবহাওয়ার কারনে কাজে বেগ পেতে হচ্ছে কিছুটা। আশা করছি দুই মাসের আগে কাজ শেষ করা যাবে। ব্রিজের দুই পাশে ব্যারিকেড দেয়া থাকলেও তা ডিঙিয়ে সাধারণ মানুষ আসা যাওয় করেতেন, যা ঝুকিপূর্ণ। তাই টিন দিয়ে প্রবেশমুখ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।