বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) এর অধীনস্থ গজুকাটা বিওপি কমান্ডার এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দল (২৬ মার্চ) বুধবার আনুমানিক ৭টা ৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার থানার গহেলাপুর প্রথম ব্রিজ (জামালের বাড়ীর সম্মুখে) অভিযান পরিচালনা করার সময় একটি সিএনজিযোগে ৫ জন ব্যক্তিকে আসতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় ফলে টহলদল সিএনজিটিকে থামানোর সিগন্যাল দেয়। এসময়, সিএনজি চালক দূর হতে টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে সিএনজিটি রেখে পালানোর চেষ্টার সময় টহলদল বিয়ানীবাজার উপজেলার গজুকাটা গ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের ছেলে মোঃ আসলাম হোসেন (৪০) কে, আটক করেন।তার সহযোগী ৪ চার জন সিএনজিটি চলন্ত অবস্থায় রাস্তার পার্শ্বে পানি-কর্দমাক্ত জায়গায় লাফিয়ে পরে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পলাতক আসামী আলম হোসেন (৫০), পিতা মৃত মঈন উদ্দিন, আব্দুস সামাদ (৪৫), পিতা মৃত আইনুল হক, আব্দুস সালাম (৪৫), পিতা মৃত খোরশেদ আলম, আব্দুর রাজ্জাক বটলা (৫০) পিতা মৃত সমের আলী সর্বগ্রাম গজুকাটা।পরবর্তীতে টহলদল আটককৃত ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করে তার সাথে থাকা ৩টি প্যাকেট, সিএনজিটিকে তল্লাশী করে সীটের থেকে ৪০ প্যাকেট ও সিএনজির ইঞ্জিন কভারের ভিতর হতে ৩৮ প্যাকেটসহ সর্বমোট ৮১ টি নীল পলিথিনের প্যাকেট জব্দ করে।উপস্থিত স্থানীয় ব্যক্তিদের সম্মুখে প্যাকেটগুলো খোলা হলে উক্ত প্যাকেটগুলোতে ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে ইয়াবা ট্যাবেলট গণনা করে ৯৩৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটককৃত আসামীসহ অবৈধভাবে বহনকারী সিএনজি বিজিবির হেফাজতে নেয়া হয়। জানা গেছে, মাদক কারবারি আসলাম দীর্ঘ দিন যাবৎ ইয়াবা সিন্ডিকেটের সাথে লিপ্ত।উল্লেখ্য তাদের ব্যাপারে খুঁজ নিয়ে জানা যায় সে ও তার ভাই পলাতক আলম হোসেন (৫০) ইয়াবা সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত হয়ে বিপুল অর্থসম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন এবং তারা এলাকায় ইয়াবা সম্রাট হিসেবে পরিচিত।এছাড়াও তথ্য পাওয়া গেছে, তারা বিয়ানীবাজার উপজেলার মাদক সম্রাজ্যের মূল হোতা হিসেবে পরিচিত। উল্লেখ্য, পলাতক আসামী আব্দুস সামাদ এবং আব্দুস সালাম এর বিষয়ে তথ্য নিয়ে জানা যায় তারা দুই জন ভারতের গুপ্তচর হয়ে বিএসএফ এর নিকট তথ্য পাচার করে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) এর অধিনায়ক বলেন, সীমান্ত এলাকায় মাদকের প্রবাহ রোধে বিজিবি সর্বদা কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আমাদের নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে মাদক চোরাচালান প্রতিরোধ করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।তিনি আরও বলেন, মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে বিজিবি সীমান্ত পাহারার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করবে, যাতে করে সীমান্তে বিজিবি জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে থাকতে পারে। আমরা সাধারণ মানুষের সহযোগীতাকে অত্যন্ত মূল্যবান মনে করি এবং সবাইকে আহ্বান জানাই, মাদক চোরাচালান বা অন্য যে কোন অবৈধ কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য থাকলে তা দ্রুত বিজিবিকে অবহিত করতে।বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি) এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করে সীমান্ত এলাকায় মাদকসহ সকল প্রকার চোরাচালান প্রতিরোধে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বিজিবির এই কার্যক্রম সীমান্ত নিরাপত্তা এবং দেশের মাদকবিরোধী সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ভূমিকা রাখবে।