সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার কাউনাই নদী গ্রুপ, চানপুরের দাইড় গ্রুপ, ধারাম বিল সহ বিভিন্ন হাওরে অবৈধভাবে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে দেশী প্রজাতির মা মাছসহ বিভিন্ন মাছ ধ্বংস করে দিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। যার ফলে ইজারাদারা সরকারকে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব দিয়েও ফিসারিতে লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছে। প্রশাসনিক ভাবে এই বিষ নিধনের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনগুলোতে হাওরে আর দেশীয় প্রজাতির মাছ পাওয়া যাবে না।সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাবে। বিলে মাছ না থাকলে কোন ইজারাদার সরকারি রাজস্ব দিয়ে পিশারী নিবেনা। কাউনাই নদী গ্রুপ জলমহালের ইজারা কৃত আলোর ভূবন মৎস্য জীবী সমবায় সমিতির লিঃ এর সভাপতি মোঃ নুরুজ্জামান মিয়া বলেন, সরকারি রাজস্ব লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে পিশারী আনলাম, অবৈধভাবে বিষ দিয়ে আমার পিশারীর মাছ চুরি করে শিকার করে নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা। এখন পিশিং করে দেখি মাছ নেই। এইভাবে বিষ প্রয়োগ চলতে থাকলে পিশারীতে আর দেশি মাছ পাওয়া যাবেনা। আমার এবছর সরকারি রাজস্বের জমা দেওয়ার অর্ধেক টাকা আসেনি। আমি অনেক লসে আছি, আমার মাথায় হাত কি করবো কিভাবে ঋন দিব ভেবে পাচ্ছি না। আমাদের এলাকার ধারাম বিল, চানপুরের দাইড় সহ অনেক পিশারীতে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করে নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা। সকল ইজারাদারদের একই অবস্থা লোকশান গনতে হচ্ছে। সুখাইর রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকারম হোসেন তালুকদার বলেন, এখন বিষ দিয়ে মাছ শিকার করে দেশি প্রজাতির মা মাছ সহ সব মাছ ধংশ করে দিচ্ছে একটা শ্রেণীর মানুষ। এখনি প্রশাসনিক ভাবে কঠুর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এইসব বিলে ভবিষ্যতে দেশি প্রজাতির মাছ পাওয়া যাবেনা। সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাবে। ধর্মপাশা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মাহমুদুর রহমান বলেন, আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি, এইবেপারে বেশ কিছু জায়গায় ব্যবস্থা নিয়েছি। যদি লিখিত অভিযোগ পাই তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ভাবে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউওনো জনী রায় বলেন, এইব্যাপারে আমাদের অভিযান চলমান আছে। যদি কোন লিখিত অভিযোগ পাই তদন্ত করে নিয়মিত মামলা করে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।