সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলায় বংশকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নে বালু-পাথর বহনকারী ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষে এক জন নিহত এবং উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় বংশ কুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের মহেষখলা বাজারে এই ঘটনা ঘটে। অনেক রাত পর্যন্ত ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। আরো সংঘর্ষের আশংকায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মধ্যনগর থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সীমান্তের তাহিরপুর এলাকা থেকে নিয়ে যাওয়া বালু পাথরের ট্রাক থেকে চাঁদাবাজি করছে বিএনপি ও ছাত্রদল যুবদলের একটি পক্ষ। এ নিয়ে উপজেলার সাউদপাড়ার বাসিন্দা স্থানীয় বিএনপির নেতা হযরত আলী ও তাঁর ভাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুক্তার হোসেন এবং হোসেনপুরের বাসিন্দা ছাত্রদল নেতা হারুন মাহমুদ ও বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন এর লোকজনের মধ্যে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আধিপত্যকে কেন্দ্র করে এই দ্বন্দ্বে এলাকায় শক্তিশালী দুইটি পক্ষ তৈরি হয়েছে। এই দ্বন্দ্বের জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় দুইপক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। মারামারির এক পর্যায়ে ইটপাটকেলের আঘাতে মোহাম্মদ আলী (৬০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। মারামারিতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় ভাবে উত্তেজনা বিরাজ করায় একজন সহকারী পুলিশ সুপার ও থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ বলেন, চাঁদা আদায় কে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ঢিলের আঘাতে একজন বয়স্ক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, তদন্ত করে যেইহোক প্রকৃত অপরাধী যারা আছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। এদিকে মধ্যনগরে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি। বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘটনার সঙ্গে বিএনপি সম্পৃক্ত নয় বলে জানানো হয়। সোমবার রাতে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবে হায়াত ও প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম মজনু স্বাক্ষরিত সাদা কাগজে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন মিথ্যা প্রচারের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়।