সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার বিভিন্ন হাওরে থাকা ১৩টি সুইজ গেইটের মধ্যে ১১টি সুইজ গেইট যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে তাই আগাম বন্যায় বোর ধান পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। । যার কারনে এই দুটি উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ৪ হাজার ৪৮৯ হেক্টর আবাদকৃত বোরো ফসলী জমি হুমকির মুখে রয়েছে। উজানের ঢল আসলে সুইজ গেইটের পাটাতনের ফাঁক দিয়ে হাওরে পানি ঢুকে বোরো ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দ্রুত এসব সুইজ গেইটগুলো মেরামতের দাবি জানিয়েছেন দুই উপজেলার কৃষকরা। ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের বোরো মৌসুমে ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার ৮২টি ছোট বড় হাওরে ৩১হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এই দুটি উপজেলার ৮২টি হাওরের মধ্যে ৯টি হাওর সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন। হাওরগুলো হচ্ছে- চন্দ্র সোনার থাল, গুরমা, গুরমার বর্ধিতাংশ, ঘোড়াডোবা, রুই বিল, সোনামড়ল, কাইলানী, জয়ধনা ও ধানকুনিয়া। এই নয়টি হাওরের মধ্যে চন্দ্র সোনার থাল হাওরেটিতে ৩টি, সোনামড়ল হাওরে ৪টি, রুই বিল হাওরে ২টি এবং গুরমা হাওরে ৪টি সুইজ গেইট রয়েছে। এখানকার ১৩টি সুইজ গেইটের মধ্যে চন্দ্র সোনার থাল হাওরের ৩টি, সোনামড়ল হাওরে ৪টি ও গুরমা হাওরে চারটি সুইজ গেইট যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এই তিনটি হাওরের আওতায় চার হাজার ৪৮৯ হেক্টর বোরো জমি রয়েছে। এছাড়া এই দুটি উপজেলার নয়টি হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধে ১২০টি প্রকল্প কাজ রয়েছে। এসব প্রকল্প কাজের বিপরীতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৬ কোটি ৪৩ লাখ চার হাজার টাকা। সুখাইর রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকারম হোসেন বলেন, এই সুইজ গেইটগুলো বেশ কয়েকবছর ধরে জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। ফলে মেরামতের করার দুই মাস যেতে না যেতেই এগুলো নষ্ঠ হয়ে পড়ে। দ্রুত এগুলো সঠিকভাবে মেরামত করার জোর দাবি জানাই। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বলেন, বিকল থাকা সুইজ গেইটগুলো মেরামতের জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আশা করি পানি আশার আগেই কাজ শেষ হবে। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, আমরা এই বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোডের মেটিংয়ে আলোচনা করেছি, বৃষ্টি হওয়ার আগেই দ্রুত ১১ টি সুইজ গেইটের মেরামত কাজ শেষ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কাজ শেষ করে হাওরের বোর ফসল রক্ষা করতে হবে।