বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিমের সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা হয়েছে, হামলা হয়েছে।
আমাদের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার, গুম ও খুন করা হয়েছে। তার পরও বিএনপির একজন নেতাকর্মীকেও লক্ষ্য থেকে তারা সরাতে পারে নি। দলের প্রতিটি নেতাকর্মী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াইয়ে কাজ করে গেছেন। দেশের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। সর্বশেষ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুৎ করার চুড়ান্ত লড়াইয়ে অনেক প্রাণ গেছে। এতো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারের দোসরদের স্থান হবে না।
রোববার বেলা আড়াইটার দিকে বিয়ানীবাজার উপজেলা সদর ও বারইগ্রাম বাজারে পৃথক দুটি পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের ১১ জন শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, শহীদদের রক্ত কোনভাবেই বৃথা যেতে দেয়া হবে না। গণখুনি ও তাদের সকল দোসরদের বিচার দেশের মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ।
এসময় সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে চুড়ান্ত লড়াইয়ে সিলেট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশী প্রাণ দিয়েছেন গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার মানুষ। শহীদের এই রক্ত কিছুতেই বৃথা যেতে দেয়া হবে না। দীর্ঘদিন থেকে এই এলাকার মানুষ উন্নয়নে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। জনগনের রায়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে এই বঞ্চনা আর থাকবে না ইনশাআল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- আমরা বিএনপি পরিবারের আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমন, কাতার বিএনপির সভাপতি শরীফুল হক সাজু , সিদ্দিক আহমদ, সায়ফুর রহমান, কুদ্দুস আহমদ, কামাল হোসেন, এনাম উদ্দিন , গুলজার আহমদ রাহেল, হোসেন আহমদ দোলন, জালাল উদ্দিন প্রমুখ।