স্টাফ রিপোর্টার
দালাল ও হয়রানি মুক্ত পাসপোর্ট সেবা দিচ্ছে সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস । সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আগের মত সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে না। দালালদের উপস্থিতি নাই বললেই চলে। নবাগত পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন যোগদানের পর থেকে দালালদের দৌরাত্ম কমে গেছে। প্রয়োজনীয় সরকারি সরকারি ফি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ লাইনে দাঁড়িয়ে যে যার মত তাদের আবেদন পত্র জমা দিচ্ছেন। কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে উপসহকারী পরিচালক শাহাদাত হোসেন তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছেন। তার দ্বারা সমস্যার সমাধান না হলে পরিচালক বিষয়টির দ্রুত সমাধান দিয়ে দিচ্ছেন। বিয়ানীবাজার থেকে আগত যুবক রবিউল ইসলাম জানান, আমি অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ লাইনে দাঁড়িয়ে 108 নম্বরে জমা দিয়েছি। তারা যাচাই-বাছাই করে ১০৩ নম্বরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আমি মাত্র ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে বের হয়েছি। কোন দালাল ছাড়াই আমি আমার পাসপোর্ট জমা করেছি। আশা করছি নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট পাব। পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের আচরণ ও খুব ভালো। আমি চাই সব সময় যেন এ ধরনের সেবা দিয়ে থাকে।
ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে পাসপোর্ট করতে আসা নাদিয়া আক্তার জানান, আমরা বাজারের কম্পিউটারের দোকান থেকে পাসপোর্ট এর আবেদন করেছি এবং বিকাশের মাধ্যমে ৫৭৫০ টাকা পরিশোধ করে আমার এনআইডি ও আমার বাবা-মায়ের এন আইডি কার্ড নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে জমা করেছি। ২০৭ নম্বর রুমে ফিংগার দিয়ে এসেছি। কোন দালাল ছাড়াই আমার আবেদন আমিই করেছি।
কানাইঘাট থেকে আসা আব্দুল হক জানান, এক মাস আগে আমার আবেদন করেছিলাম। আজকে পাসপোর্ট হাতে পেয়েছি। আমি কোন দালালকে দিয়ে আবেদন করিনি। সরাসরি আবেদন পত্র পাসপোর্ট অফিসে এসে জমা দিয়ে ফিঙ্গার করে চলে গেছি। আমি কোন দালাল কিংবা মাধ্যমে আবেদন করিনি। কাউকে কোন বাড়তি টাকা দিতেও হয়নি।
উপসহকারী পরিচালক শাহাদাত হোসেন জানান, আমাদের নতুন স্যার আসার পর থেকে কোন ধরনের দালাল গেটের ভিতর প্রবেশ করতে পারে না। পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে আমার কাছে আসার সাথে সাথে সেটার সমাধান করার চেষ্টা করি। কোন পাসপোর্ট প্রত্যাশীকে হয়রানি করার সুযোগ নাই। সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত আমি তাদের সেবা দিয়ে আসছি। আমার দ্বারা যেটা সম্ভব হয়না সেটার জন্য পরিচালক স্যারের কাছে পাঠাই। স্যার সাথে সাথে সমাধান করে দেয়ার চেষ্টা করেন।
সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রতিদিন পাসপোর্ট প্রত্যাশী তাদের আবেদনপত্র জমা দেন এবং পাসপোর্ট গ্রহণ করেন। জনবল স্বল্পতা থাকা সত্ত্বেও মানুষের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করছি। কোন দালাল বা ফরিয়াদের অফিসের গেটে ঢোকার সুযোগ নাই। কিছু লোক আছেন যারা অবৈধ সুবিধা আদায়ের তদবির নিয়ে আসেন। সেই সুবিধাগুলো না দেয়ার কারনে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশ করে সাধারণ সেবা কে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। আমি সকল সাংবাদিকদের অনুরোধ করবো, আপনারা আসেন দেখেন। আমি কিংবা আমার কোন কর্মকর্তা কর্মচারী অপরাধ করলে বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করবেন। আমরা এখানে এসেছি মানুষের সেবা দেয়ার জন্য।