জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল টি এম জোবায়ের দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে—বিদেশে অঢেল সম্পদ গড়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানীর গুলশান—২ এলাকার এনএসআই কার্যালয় স্বজনের নামে দলিল করে দখলে নিয়েছেন তিনি। যুক্তরাজ্যের লন্ডন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ছাড়াও তুরস্কে রয়েছে তার আলিশান বাড়ি। এর মধ্যে শুধু লন্ডনের বাড়ির দামই ২৯ লাখ ৪৫ হাজার পাউন্ড (প্রায় ৪৬ কোটি টাকা)।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গত ১১ আগস্ট জমা পড়া অভিযোগে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে জোবায়েরের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট আটটি অভিযোগ রয়েছে। যাচাই—বাছাই শেষে গতকাল রোববার কমিশন অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ সোমবার অভিযোগের বিষয়ে প্রকাশ্যে অনুসন্ধান শুরু হবে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
অভিযোগে বলা হয়, গুলশান—২ এর ৮৪ নম্বর রোডে বিশাল আয়তনের সরকারি যে বাড়ি ৪৫ বছর ধরে এনএসআই কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল, সেটি গণপূর্তের মাধ্যমে জালিয়াতি করে এক আত্মীয়ের নামে দলিল করে নেন। এখনও বাড়িটি তাদের দখলেই আছে। গাজীপুরের শ্রীপুরে রিসোর্ট ও সদরে বহুতল বাড়ি রয়েছে। ঢাকার উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে নিজের ও বোনের নামে ফ্ল্যাট ও রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্সে ৩—৪টি দোকান কিনেছেন। নিজ এলাকা মাদারীপুরের কালকিনির রমজানপুরে নির্মাণ করেছেন বিলাস বহুল বাড়ি।
জোবায়ের ঢাকার সেগুনবাগিচা ও ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট, সাভার ডিওএইচএসে ১০তলা বাড়ি করেছেন। পাচার করা অর্থে লন্ডনে একটি আলিশান বাড়ি কিনেছেন। বেক্সলি এলাকার হেথ কর্ফট ওয়াসান্ট সড়কের ৭ নম্বর বাড়িটি টি এম জোবায়ের, স্ত্রী এফ (ফাহমিদা) মাসুদ ও ছেলে মোহাম্মদ এস ইবনে জোবায়েরের নামে নিবন্ধন করা। তুরস্ক ও আরব আমিরাতের দুবাইতেও রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি। ডিজি থাকাকালে চাচাতো ভাই মো. জহির তদবির করে অন্তত ৫০ জনকে এনএসআই কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেন। বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা করে নিয়েছেন।