স্টাফ রিপোর্টার: প্রায় এক সপ্তাহ পর সীমিত জনবল দিয়ে কার্যক্রমে ফিরেছে সিলেট মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ কোতোয়ালি মডেল থানা। সোমবার (১২ আগস্ট) কর্মবিরতি শেষে ফিরেছেন পুলিশ সদস্যরা। এতে সচল হচ্ছে থানা। তবে এখনও মামলা নিতে পারছে না এই থানা।
সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট বিকেলে কোতোয়ালি থানাতে হামলা করা হয়। সহকারী পুলিশ কমিশনার, ওসি ও অন্যান্য কার্য়ালয়ে ভাঙচুর দেওয়া হয়। এতে বিভিন্ন মামলার নথি ও মূল্যবান কাগজপত্র পুড়ে যায়। পুরো থানা ভবন, ফার্নিচার ভাঙচুর করা হয়। এরপর জনরোষ, বাহিনীর অধস্তনদের অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ, নিরাপত্তার অভাব ও মনোবল হারিয়ে পুলিশকে দেখা যায়নি মাঠে। পরে বেশ কিছু দাবি—দাওয়া নিয়ে ৬ আগস্ট থেকে কর্মবিরতির শুরু করেন পুলিশ সদস্যরা।
জানা গেছে, অনেকটা সীমিত জনবল দিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৭৫ জন স্টাফের মধ্যে ২০—২৫ জনের মতো কাজে ফিরেছেন। ৫ আগস্টের পর কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্ত হয়েছে। তবে এখনও ক্ষতবিক্ষত হয়ে আছে থানার অধিকাংশ স্থান। ভাঙচুরের চিহ্ন লেগে আছে ভিন্নস্থানে। পুলিশের পাশাপাশি রয়েছেন আনসার সদস্যরাও।
এ ব্যাপারে কতোয়ালি থানার নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া সিলেটভিউকে মিয়া বলেন, আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা কাজে যোগ দিয়েছেন। পুরোপুরো কার্যক্রমে ফিরতে হয়তো কিছুটা সময় লাগবে এমনকি এখন মামলাও নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ মামলা নেওয়ার মতো ক্যাপাসিটি আমাদের নেই। অনেক কিছু নষ্ট হয়েছে গেছে। পুড়ে গেসে কম্পিউটারসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র। আপাদত সাধারণ ডায়েরি (জিডি) কার্যক্রম করা হচ্ছে। মামলার কার্যক্রম শুরু হয়নি। আমরা দ্রুত সবকিছু স্বাভাবিক করতে চেষ্টা করছি।
এর আগে কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহম্মদ মঈন উদ্দিনকে বদলি করে পুলিশ লাইনন্সে সংযুক্ত করা হয়। আর কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয় এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত মোহাম্মদ নুনু মিয়াকে।