স্টাফ রিপোর্টার: আলটিমেটামের ২৪ ঘন্টার পার হলেও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদত্যাগ না করায় ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা ভিসির কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে সিকৃবির রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েবের সাথে নিয়োগ বাণিজ্য, স্বজন প্রীতি ও দুর্নীতির সাথে জড়িত কয়েকজন কর্মকর্তা ক্যাম্পাসে আসলে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাস ত্যাগে বাধ্য করে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের ধাওয়া দিলে রেজিস্ট্রার এবং কর্মকর্তারা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।
এ সময় আন্দোলনরত ছাত্ররা বলেন, বিগত দিনে ভিসির যোগসাজশে রেজিস্ট্রার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির আখড়া গড়ে তোলেন। রেজিস্ট্রার পদে যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ নেয়ে টেন্ডারবাজির মাধ্যমে নিজের লোকদের ঠিকাদারি কাজ দেন।
ছাড়াও বিভিন্ন পদে যোগ্যতা ছাড়াই নিয়োগ দিয়ে সমালোচিত হওয়ার খবর দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়।
এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবন ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এসময় তারা ভিসির কুশপুত্তলিকা দাহ করে।
পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর ড. মো. ছিদ্দিকুল ইসলামের কাছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের
সিলেটের সমন্বয়ক গোলাম মুর্তজা ও সিকৃবির সমন্বয়ক আজিজুল হক আজাদের নেতৃত্বে ৭ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন। দাবিগুলে হলো—
১. ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।
২. অনতিবিলম্বে ক্যাম্পাসের সকল কার্যক্রম চালু করা, আবাসিক হল সমূহ খুলে দেওয়া এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৩. দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্র সংসদ চালু করা।
৪. শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।
৫. বৈধ ছাত্রদের হলে সিট প্রদানের ব্যবস্থা করা।
৬. অছাত্রদের দ্রুত নোটিশের মাধ্যমে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া।
৭. যে সকল ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী দ্বারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা হুমকি, মারধর ও হয়রানির শিকার হয়েছে তাদেরকে পদত্যাগ ও ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন,
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল যৌক্তিক দাবী সমূহ অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান আন্দোলনরত সাধারণ ছাত্ররা।