হাওরাঞ্চল ডেস্ক:
আদালত অবমাননার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এটি তাঁর বিরুদ্ধে দেওয়া প্রথম সাজা। একই মামলায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আকন্দ বুলবুলকে ২ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (তারিখ) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে, আদালত অবমাননার মামলায় পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে নিয়োগ করে ট্রাইব্যুনাল। শুনানির ধারাবাহিকতায় অভিযুক্তদের হাজির হতে একাধিকবার সময় দেওয়া হলেও শেখ হাসিনা ও শাকিল বুলবুল কেউই আদালতে উপস্থিত হননি বা কোনো জবাব দাখিল করেননি।
প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম জানান, ‘‘জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান ইস্যুতে দেওয়া বক্তব্য ও ভাইরাল অডিও বার্তায় আদালতকে অবমাননা করেছেন শেখ হাসিনা ও শাকিল বুলবুল। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও তাঁরা হাজির না হওয়ায় আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’’
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ভাইরাল অডিও বার্তার ফরেনসিক পরীক্ষা করে এর সত্যতা নিশ্চিত করে। ওই অডিওতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।’’ এই বক্তব্য আদালতের প্রতি অবমাননাকর বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
আইন অনুযায়ী, আদালত অবমাননার মামলায় কোনো পক্ষের জন্য সরকারি খরচে আইনজীবী নিয়োগের বিধান নেই। তবে ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার পক্ষে একজন আইনজীবী নিয়োগের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, এ ধরনের অপরাধে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজাই দেওয়া হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে আর কোনো আপস করা যাবে না।