নিউজ ডেস্কঃ হবিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ বিএনপির তিন নেতাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে বিএনপির তিন নেতাকে সিলেটে এবং রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে ওসিকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচিতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। শুরু থেকে কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু কর্মসূচি শেষে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তারা হচ্ছেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আওয়াল, যুবদল নেতা আমিন শাহ, নুর উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা সৈয়দ আশরাফ আহমেদ, মনিরুজ্জামান, অলিউর রহমান অলি, সাইফুল রহমান বাবু, সাবের আহমেদ ও অনিক হাসান।
এ ঘটনায় বিএনপি ও পুলিশ পরস্পরকে দোষারোপ করেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায়বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছ বলেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। পুলিশ শুরু থেকেই উসকানি দিয়েছে। শান্তিপূর্ণ মিছিল শেষে তারা হঠাৎ আক্রমণ চালায়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মেরেছে। নেতাকর্মীদের গুলি করে আহত করেছে। আমার বাসায় গুলি করেছে। এখন আবার আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা দিচ্ছে। এসব মিথ্যা মামলা দিয়ে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। হামলা করে আন্দোলন থামানো যাবে না।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আওয়াল ও যুবদল নেতা নুর উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে সিলেটে আইসিইউতে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। আরেক যুবদল নেতা আমিন শাহর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’
এ বিষয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান জানান, বিএনপি শুরুতে শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল করছিল। কিন্তু হঠাৎ তারা মারমুখী হয়ে ওঠেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল থানায় আক্রমণ করা। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তারা সন্ত্রাসী এনেছেন।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করতে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। সংঘর্ষে আমাদের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোববার ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।