সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম কুটি মিয়ার মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্বজনরা ।
হত্যা রহস্য উদঘাটন করে অপরাধীদের গ্রেফতার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চেয়ে (৯ডিসেম্বর) শনিবার বিকালে শহরের একটি সাংবাদিক সংগঠনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহতের মা,স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। লিখিত বক্তব্যে নিহত কুটির মিয়ার স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ভুরুমপুর গ্রামের যুবক দেলোয়ার হোসেন কুটি মিয়ার মোবাইল ফোনে বার বার কল করে ডাবর পয়েন্টে দেখা করতে বলেন ।
ফোনকলের পর দেলোয়ারের সাথে দেখা করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান কুটি মিয়া। এর ১ ঘন্টা পর অজ্ঞাত একজন কুটি মিয়ার মোবাইল দিয়ে দুর্ঘটনায় কুটি মিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় পরিবারকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে মোটরসাইকেল ও কুটি মিয়ার নিথর দেহ সড়কের পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায় ।
এসময় দুর্ঘটনার কোনো আলামত পাওয়ায় যায়নি বলে দাবি পরিবারের। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত অবস্থায় কুটি মিয়াকে কৈতক হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের দাবি কুটির মিয়ার মৃত্যু দুর্ঘটনা নয় এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এই হত্যাকান্ডের সাথে জনৈক যুবক দেলোয়ারসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত রয়েছে বলে দাবি তাদের ।
কুটির মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় সন্দেহভাজন ৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও রহস্যজনক কারনে আসামিরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাহিরে বলে জানান কুটি মিয়ার স্ত্রী আয়েশা বেগম ।
মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করতে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দাবি পরিবার। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কুটির মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী রাশেদা বেগম,মা খায়রুন নেছা, চাচা জামিল আহমদ ছব্দর। সংবাদ সম্মেলন স্থানীয় ও জাতীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।