সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে গভীর রাতে হানা দিয়েছে ডাকাত দল। বুধবার গভীর রাতে উপজেলার কালাগুজা ও বাহাদুরপুর গ্রামে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। তবে সুনামগঞ্জের নতুন পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মেদের কঠোর হস্তক্ষেপে বড় ধরনের ক্ষতির মুখ থেকে রক্ষা পায় গ্রামবাসী। স্থানীয়রা পুলিশ সুপারকে ফোন দিয়ে বিষয়টি অবগত করলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসেন তিনি। স্থানীয়রা জানায়, ২০/২৫ জনের একটি দল ডাকাতির উদ্দেশ্যে মাথায় কালো টুপি পড়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ ট্রলিগাড়ী, মোটরসাইকেল নিয়ে ডুকে পরে উপজেলার কালাগুজা গ্রামের মুখলেছের বাড়িতে। খবর পেয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ডাকাতি প্রতিরোধে বের হন এলাকাবাসী। গ্রামের মানুষ বের হলে সেখান থেকে দাওয়া খেয়ে সামনের দিকে আসতে থাকে এবং এলোপাতাড়ি যাকে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে। ডাকাতদের হাতে থাকা রামদা, বল্লমের আগাতে গ্রামের ৩ জন গুরুতর আহত। তারা এখন জামালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। একইভাবে সুখাই উত্তর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের মজনু মিয়ার বাড়িতে হানা দেয় ১২ থেকে ১৩ জনের একটি ডাকাত দল। বাহাদুরপুর গ্রামের মানুষ জন ডাকাতি প্রতিরোধ করতে বের হলে তারা পালিয়ে যায়। ডাকাত দল পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের সাথে থাকা ট্রলি গাড়ি ও দেশিও অস্ত্র ফেলে যায়। তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রলি গাড়ী ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ । এ ঘটনায় কালাগুজা গ্রামের মৃত শামছুল হকের পুত্র সবুজ মিয়া ওই রাতেই বাদী হয়ে জামাল মিয়া ও বকুল মিয়াসহ ১৫ জনকে আসামী করে জামালগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে জামালগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।