1. mdjoy.jnu@gmail.com : admin : Shah Zoy
  2. satvsunamgonj@gmail.com : Admin. :
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৬ অপরাহ্ন
  •                          

হাওরাঞ্চলের কথা ইপেপার

ব্রেকিং নিউজ
ফ্যাসিস্ট সরকার ভোট চুরি করে দীর্ঘ কয়েক বছর ক্ষমতায় ছিল : খন্দকার মুক্তাদির প্রবাসীরা আমাদের দেশের অমূল্য সম্পদ : এম এ মালিক নির্বাচন যত দেরী হবে দেশ তত পিছিয়ে যাবে- সিলেটে মির্জা ফখরুল প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করণে নির্বাচন কমিশনের দৃশ্যমান কর্মতৎপরতা চাই- জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার নাজির মধ্যনগর পুলিশের বিশেষ অভিযানে ওয়ারেন্ট ভোক্ত দুইজন আসামি গ্রেপ্তার মধ্যনগরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভারতীয় কাপড়সহ একজন গ্রেপ্তার অস্ত্র-বিস্ফোরক ও সাইবার মামলার আসামী প্রতারক মামুনকে গ্রেফতারে মরিয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সিলেটে গ্লোবাল টেলিভিশনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি পালিত আদালত অবমাননার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সিলেটে ভুয়া ওয়ারেন্টে গ্রেফতারকৃত ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক কাওছার জামিনে মুক্ত : তদন্ত কমিটি গঠিত

সিলেটে ভুয়া ওয়ারেন্টে গ্রেফতারকৃত ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক কাওছার জামিনে মুক্ত : তদন্ত কমিটি গঠিত

Reporter Name
  • আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

‎স্টাপ রিপোর্টার :

সিলেটের ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক কাওসারকে গত ১৯ জুন ভুয়া ওয়ারেন্টে র‌্যাব-৯ এর অভিযানিক দল নগরীর কদমতলী তার ব্যবসা প্রতিষ্টান থেকে কোন ধরনের যাচাই বাছাই ও সংশ্লিস্ট থানার রিকুইজিশন ছাড়াই গ্রেফতার করে পুলিশে সোর্পদ করে। গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশও যাছাই না করে জেল হাজতে প্রেরন করে। পরবর্তীতে তার স্বজনরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার নামে কোন মামলা বা ওয়ারেন্ট হয়নি। একটি জালিয়াতচক্র উদ্দ্যেশ প্রনোদিতভাবে র্যাবকে ভুল বুঝিয়ে তাকে গ্রেফতার করিয়েছে। বিভিন্ন সুত্র জানায়, নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানায় ভুয়া ওয়ারেন্টে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে ১২ দিন কারাভোগ শেষে জামিনে মুক্ত হয় ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক সেলিম হোসেন কাওছার।
রবিবার সিলেটের আদালতে নরসিংদী থেকে ঐ মামলার কাগজপত্র দাখিল করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত থাকে জামিন মঞ্জুর করেন। ঘটনাটি জানাজানির পর সিলেট জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয় এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড় । এর প্রেক্ষিতে নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
ভুক্তভোগী একজন প্রতিষ্টিত ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক সেলিম আহমদ কাওছার দৈনিক সবুজ সিলেট’র স্টাফ রিপোর্টার। সে গোলাপগঞ্জ উপজেলার রণখেলি গ্রামের আওলাদ হোসেনের পুত্র। তার পরিবারের দাবী কারও ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে তাকে ভুয়া ওয়ারেন্ট সৃজন করে র‌্যাব ও পুলিশকে বোকা বানিয়ে  কার্য হাসিল করা হয়েছে। বিষয়টির সঠিক তদন্ত করা হলে এবং র্যাবকে কে বা কারা আসামী গ্রেফতার করতে উৎসাহ বা ধরাতে কাজ করেছেন তাদেরকে চিন্হিত করতে পারলেই ভুযা ওযারেন্টের মুল রহস্য বেরিযে আসবে।

আরও ‎জানা যায়, নরসিংদী থানার নিষ্পত্তি হওয়া একটি মামলায় ইস্যু হওয়া ভুয়া ওয়ারেন্টে গ্রেফতার কাওসার ১২দিন কারাভোগ করেন। গত ১৯ জুন সিলেট মহানগরীর কদমতলীস্থ তাঁর নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে র‌্যাব-৯ এর একটি দল তাকে আটক করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় সোপর্দ করে। পরবর্তীতে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ মামলা নং-১৫ ধারা ৩০২/৩৪ দ.বি এবং স্মারক নং- ১৯৮/(৫/৩/২৫) গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেয়।

সেলিম আহমদ কাওছারের ছোট ভাই মাহবুব হোসেন জানান, আমার ভাইকে গ্রেফতারের পর আমরাও মামলার নথি উত্তোলন করে মামলায় ভাইয়ের নাম নেই দেখতে পাই। এছাড়াও ২০২৪ সালে আদালত কর্তৃক এই মামলাটি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। অথচ একটি শক্তিশালী জালিয়াতচক্র আমার নিরপরাধ ভাইকে ভুয়া ওয়ারেন্টে সৃজন করে গ্রেফতার করিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়। আমরা সামাজিক ও মানসিকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছি। আমরা চাই প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হউক। যে বা যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হউক।

সুত্র আরও জানায় , নরসিংদী অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম ম্যাজিস্ট্রেট এর স্বাক্ষর করা গত ২৮ এপ্রিল ইস্যুকৃত ওয়ারেন্টেটিতে উল্লেখ করা হয় যে, সেশন মামলা নং-৫৩৫/১২,রায়পুরা থানার মামলা নং ১০(৮)১১, ধারা -৩০২/৩৪দ.বি, (সিডিএমএস সম্পন্ন), আদালতের স্মারক -৫২৩/২৫ (তারিখ-১৫-৬-২৫), নরসিংদী পুলিশ সুপারের ১৫-৪-২৫ ইংরেজী তারিখে স্বাক্ষরিত। যার স্মারক নং-১৯৮৪ উল্লেখিত ওয়ারেন্টে টি তামিল করার লক্ষ্যে চলতি বছরের ১০ এপ্রিল নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গ্রহণ করা হয়।

‎যা পরবর্তীতে ওয়ারেন্ট তামিলের উদ্দেশ্যে সিলেট জেলার পুলিশ সুপার বরাবর প্রেরণ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে উক্ত ওয়ারেন্টটি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাপগঞ্জ বরাবর প্রেরণ করা হয়। যার ফলে ১৯ জুন র‌্যাব-৯ এর একটি দল সিলেটের কদমতলিস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সেলিম আহমদ কাওছারকে গ্রেফতার করে।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে, তা নয়। পুলিশের (ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) অপরাধীর তথ্য সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির সফটওয়ারেও কাওছারের নামে আসামি হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করা হয়।

তাই এই ঘটনার সাথে নরসিংদীর রায়পুরা থানার সিএসআই, জিআরও, (সিডিএমএসের) দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইহাতে ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। যদিও কেউ স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কিন্তু অফিসিয়ালি অন্য কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর করেও প্রেরণ করা হতে পারে। বিগত কয়েক বছর আগে নিষ্পত্তি হওয়া মামলায় পুলিশের অতীব গুরুত্বপূর্ণ ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমেও অপরাধী হিসেবে সেলিম আহমেদ কাওছারে নাম অর্ন্তভুক্ত করা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সহযোগীতা ছাড়া সম্ভব নয় বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই জালিয়াতচক্র নরসিংদী থেকে সিলেটের চিন্হিত জালিয়াত চক্রের সদস্যদের সহযোগিতায় অপরাধ কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থাদের নজরদারী বাড়ানো দরকার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন