স্টাফ রিপোর্টার:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে গত ৪ঠা আগষ্টের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং বিস্ফোরক আইনে সাংবাদিকসহ নিরপরাদ মানুষকে মামলার আসামী করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পায়তরা করছে সিলেটের একটি সিন্ডিকেট চক্রের। তেমনি একটি মামলা গত ২৮ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে সিলেট কোতওয়ালী থানায় মো: আক্তার আলীকে বাদী সাজিয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী মেয়রসহ ২৫৭জনকে আসামী করে বহু নিরপরাধ মানুষকে আসামী করা হয়েছে। সাবেক আইনমন্ত্রী ও সিলেট সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের নাম উল্লেখ করে স্থানীয় সাংবাদিক ও বিভিন্ন থানার সাধারন মানুষকে আওয়ামীলীগের কমীর্ ও নেতা উল্লেখ করে মামলাটি রুজু করা হয়েছে। চক্রটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন পুলিশ ও র্যাবের সোর্স মো: ফয়সল আহমদ নামের এক প্রতারক।
একাধিক সুত্র জানায়, এই মামলার পরিকল্পনাকারী ও মুল ইন্দনদাতা সিলেট গোলাপগঞ্জের কালাকোনা গ্রামের চিহ্নিত দালাল, প্রতারক সিলেট সোনারপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া পুলিশ ও র্যাবের সোর্স মনাই মাঝির পুত্র মো: ফয়সল আহমদ। তার বিরুদ্ধে কোতওয়ালী থানায় ছিনতাইসহ একাধিক মামলা থাকলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার না করায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় এবং নিরপরাধ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। গত ২৮ অক্টোবর তারিখে মো: আক্তার আলী নামের এক ব্যক্তিকে বাদী বানিয়ে দৈনিক হাওরাঞ্চলের কথা’ পত্রিকার সম্পাদক ও গ্লোবালটিভি’র সিলেট ব্যুরো প্রধান মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন তালুকদারসহ বহু নিরপরাধ মানুষকে আসামী বানিয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে। অথচ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ কভার করতে গিয়ে গেল ১৯ জুলাই গ্লোবালটিভি’র সাংবাদিক ও ক্যামেরাপার্সন ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনার সন্ত্রাসীদের দ্বারা লাঞ্চিত হন এবং ক্যামেরাসহ হেলমেট খোয়াতে হয়েছে। এ ছাড়াও দৈনিক হাওরাঞ্চলের কথা পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশক মো: মাহতাব উদ্দিন তালুকদার সুনামগঞ্জ—১ আসনের দুনীর্তিবাজ এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এর বিরুদ্ধে একের পর এক সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে ২০২০ সালের ৪ঠা মে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করিয়ে বিনাঅপরাধে সাড়ে তিন মাস জেল কাটিয়েছেন। পরবতীর্তে সিআইডি’র ফরেনসিক রিপোর্টে অপরাধের কোন সত্যতা পাওয়া না গেলেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিশকে দিয়ে চার্জশীট প্রদান করা হয় কিন্তু মহামান্য হাইকোর্টে সে মামলাটি প্রথমে স্থাগিতাদেশ দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে কারন দর্শানোর রুলনিশি জারি করেন এবং রুল নিশি’র জবাব না দেয়ায় মামলাটি কোয়াশমেন্ট হয়। এ দিকে দৈনিক হাওরাঞ্চলের কথা পত্রিকার সম্পাদক এর দুটি সন্তান জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি করায় তিনি ২০২৩ সালের প্রথম দিকে সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটে আসেন এবং হক সুপার মার্কেটের ৩য়তলায় অফিস স্থাপন করেন। এখানে আসার পর থেকেই দালাল ফয়সল তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা, ফেইসবুকে মানহানিকর শব্দ ব্যবহার করে লেখালেখি করেই যাচ্ছেন। ফয়সল আহমদ এর কোন পেশা বা চাকুরী নেই। মানুষকে বিপদে ফেলে কিংবা প্রতারনা কিংবা মিথ্যা মামলায় আসামী করে টাকা রোজগারের পন্থা বাহির করিয়াছে। ফয়সল আহমদ এর যত পুরাতন শত্রু আছে সবাইকে বিে¯ফারক আইনের মামলায় আসামী করা হয়েছে। মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত করা হলে অবশ্যই ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসবে এবং প্রতারক ফয়সলের আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী খালেদ আহমদ জানান, মো: ফয়সল আহমদ একজন ভন্ড প্রতারক হ্যাকার র্যাব পুলিশের সোর্স থানা ও কোর্টের দালাল। তার নিজস্ব কোন পেশা নাই। মানুষকে নানানভাবে হয়রানী করে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বির্তকিত করতেই মো: ফয়সল আহমদ বিভিন্ন মানুষকে বাদী করে নিরপরাধ ও সাধারন মানুষকে আওয়ামীলীগের নেতা বানিয়ে পুলিশকে দিয়ে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমুলক মামলা রুজু করানো হচ্ছে। ফেইসবুকে মানুষের বিরুদ্ধে কুৎসারটানোর প্রতিবাদ করায় আমাকেও অনেকগুলো মামলার আসামী করা হয়েছে। আমরা এর সুষ্টু তদন্তসহ ফয়সলের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে কোতওয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জিয়াউল হক জানান, অন্যায়ভাবে কাউকে আসামী করা হলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বিনাদোষে কাউকে গ্রেফতার করা হবে না।