স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের সবকটি পাথর কোয়ারী খুলে দেয়ার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ক্ষুধার্থ শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার বিকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে সিলেট পাথর শ্রমিক ও ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়।
মানববন্ধন অনুষ্ঠানে সিলেটের জাফলং, বিচনাকান্দি, কোম্পানীগঞ্জ এলাকার দিনমজুররা কাজের দাবীতে মানববন্ধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক সিটি কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েছ লোদি, মহানগর বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সিলেট পাথর শ্রমিক ও মালিক পরিষদের আহবায়ক আব্দুল জলিল মেম্বার, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও পাথর শ্রমিক সংঘের নেতা শওকত আলী বাবুলসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত শত শত শ্রমিক ও শ্রমিক নেতারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১০ লক্ষ মানুষের রুটি রুজির একমাত্র অবলম্বন পাথর কোয়ারীগুলো খুলে দিতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের কিছু অসৎ কর্মকর্তারা নিজেদের ফায়দা হাসিলের জন্য পরিবেশ ধ্বংসের দোহাই দিয়ে ইজারা বন্দোবস্ত দিচ্ছে না। আমরা চাই অনতিবিলম্বে সিলেটের সবকটি পাথর কোয়ারী খুলে দিতে হবে। অন্যথায় সিলেটের শ্রমিক সমাজ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন। ভারত থেকে পাহাড়ী ঢলের পানির সাথে ভেসে আসা পাথর ও বালু উত্তোলন করলে নদীগুলোর নাব্যতা ফিরে আসবে এবং অন্যদিকে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব পাবে।
দীর্ঘ বছর ধরে পাথর ও বালু কোয়ারীগুলো ইজারা না দেয়ার সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। স্থানীয় একটি স্বার্থন্বেসী মহলের সাথে প্রশাসনের অসৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজসে কোটি কোটি টাকার বালু পাথর লুট করে নিচ্ছে। তখন পরিবেশ ধ্বংষ হয় না। আমরা চাই দ্রæততম সময়ের মধ্যে সিলেট বিভাগের প্রতিটি পাথর কোয়ারী ইজারা বন্দোবস্ত দিয়ে লাখো মানুষের আয় রোজগারের পথ সুগম করে দিবেন। পরিবেশের দোহাই দিয়ে বাউতাবাজি করা চলবে না।