হাওরাঞ্চলের কথা :: “সৃজনের- দায়বোধে ফাগুনে- একুশে” স্লোগানে সিলেটে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম চালিকাশক্তি সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের অন্যতম আয়োজন একুশের আলোকে এগার দিনব্যাপী নাট্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়েছে।
গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটায় কবি নজরুল অডিটোরিয়াম মুক্তমঞ্চে মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালিয়ে নাট্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী শিল্পী মঞ্চকুসুম শিমুল ইউসুফ। উদ্বোধনী মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান।
এবছর নাট্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নাট্য পরিষদ সম্মাননা তুলে দেয়া হয় বিশিষ্ট চা-কর, রাজনীতিবিদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিককে।
সম্মিলিত নাট পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উজ্জ্বল দাশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির প্রতিটি সংগ্রামে নাট্য আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। ভাষা ও সংস্কৃতির মর্যাদা রক্ষায় সম্মিলিত নাট্য পরিষদের একুশের আলোকে নাট্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে নাট্যকর্মীরা আগামী প্রজন্মের কাছে যুগান্তকারী বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন।
তারা আরও বলেন, মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে ও নান্দনিক সমাজ গঠনে নাট্য আন্দোলনের বিকল্প নেই। নাটকের পাশাপাশি নাট্যপরিষদ গুণীজনকে সম্মান জানানোর মধ্য দিয়ে অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ করে যাচ্ছে। বক্তারা সম্মিলিত নাট্য পরিষদের আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদের প্রধান পরিচালক অরিন্দম দত্ত চন্দন, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোক্কাদেস বাবুল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক আল আজাদ, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসিনা বেগম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের পরিচালক চম্পক সরকার, কনোজ চক্রবর্তী বুলবুল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল আলম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি নিরঞ্জন দে জাদু, অনুপ কুমার দেব, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মুকুল, শামসুল বাসিত শেরো, নাট্যপরিষদ যুগ্ম সম্পাদক সুপ্রিয় দেব শান্ত, প্রচার সম্পাদক অচিন্ত দে অমিত, কার্যকারী সদস্য ফারজানা সুমী, দিবাকর সরকার শেখর।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের পর নৃত্যশৈলী সিলেটের পরিবেশনায় নৃত্যালেখ্য “দ্রোহী বর্ণমালা” মঞ্চস্থ হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হয় ছন্দানৃত্যালয়ের নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। সন্ধ্যা ৭ টায় অডিটোরিয়াম মঞ্চে প্রথম দিনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প অবলম্বনে শাস্তি নাটক মঞ্চস্থ করে নাট্যালোক সিলেট (সুরমা)।
আজ শুক্রবার উৎসবের দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যা ৭টায় থিয়েটার মুরারিচাঁদ মঞ্চস্থ করবে নাটক “পুতুলমানুষ”। এগার দিনব্যাপী উৎসব শেষ হবে আগামী ৫ মার্চ রোববার।