স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপি ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিগত কিছু দিন যাবত শান্তিগঞ্জ থানার ওসি আকরাম আলী ও এসআই সুলেমান মিলে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানী করছেন এবং তাদের গ্রেফতারও করছেন। ৫ আগস্টের পর সমগ্র দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তন হলেও শান্তিগঞ্জের পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়নি। এমনকি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ গ্রহণকারী আইন উদ্দিন আহত হন। সে সিলেট শহরে বসবাস করেও মামলার আসামী হয়েছে এবং থাকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করছে পুলিশ।
গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ঠাকুরভোগ গ্রামে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দাল মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক সুফি মিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি সমর্থিত গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শান্তিগঞ্জ থানার ওসি ও এসআই মামলা বাণিজ্য শুরু করেন। মামলা ঘটনার সাথে যাদের কোনো সম্পৃক্তা নেই এমন কয়েকজনকেও আসামী করেন। পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নূর মিয়াকে প্রধান আসামী করা হয়। এতে অনেকেই ধারনা করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে মিশে পরিকল্পিতভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানী করছে পুলিশ।
সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জাকির হোসাইন বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি যে সংর্ঘষ হয়েছে তা দুই গ্রামবাসীর মধ্যে শিরনী নিয়ে হয়েছে। সেটা রাজনৈতিক কোনো বিষয় নয়।
এ বিষয়ে শান্তিগঞ্জ থানার ওসি আকরাম আলী বলেন, সংর্ঘষের ঘটনায় দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ গুলো তদন্তে আছে।