সুনামগঞ্জ সদর থানার এসআই মোঃ মহিন উদ্দিন ছিলেন একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। সাধারন মানুষের আস্থার পথিক ছিলেন তিনি। বিশেষ করে সদর থানা এলাকার অসহায়, গরীব ও বঞ্চিত মানুষের আইনী অধিকার আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
সদর মডেল থানায় কর্মরত থাকার সুবাধে সর্বস্থরের মানুষ তার কাছ থেকে সর্বোচ্চ সেবা পেয়েছেন। যে কারনে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা এলাকার অসহায় সেবা প্রত্যাশী লোকজন এসআই মোঃ মহিন উদ্দিন সুনামগঞ্জ থেকে ঢাকায় চলে যাওয়ায় আবেগ আপ্লূত হয়ে দুঃখ প্রকাশ করছেন। জানা যায়, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় এসআই হিসাবে যোগদান করেন তিনি। তারপর থেকেই এসআই মোঃ মহিন উদ্দিন সকল ধরনের মানুষকে আইনগত সহায়তা, এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ গুরুত্বপূর্ণ মামলা তদন্ত করে মানবিক পুলিশ অফিসার হিসেবে অনেক সুনাম অর্জন করেন। তিনি খুবই দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এবং পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক অত্যান্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা এবং সেবা প্রত্যাশীদের দ্রুত আইনগত সহায়তা প্রদান করে অনেক সুনাম অর্জন করেছেন তিনি। যেখানেই অসহায়-গরীব মানুষ প্রভাবশালীদের কাছে হেনস্তার শিকার হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় থানায় এসেছেন। সেই মানুষগুলোকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতে সর্বদা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তিনি।
তাইতো সাধারন মানুষ এসআই মহিন উদ্দিনের চলে যাওয়াটাকে মেনে নিতে পারছেন না। সদর উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের মুজিবুর রহমান জানান, স্বৈরাচারী আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সুনামগঞ্জ-০৪ আসনের সাবেক এমপির ঘনিষ্ঠ হওয়ায় আব্দুল কুদ্দুছ নামের এক জাপা নেতা আমার বাবার কাছ থেকে ২ কেয়ার জমি কেনার কথা বলে ১৬ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রতারণা করে ৫ কেয়ার জমি হাতিয়ে নেয়। এই শোকে আমার বাবা মৃত্যুবরণ করেন।
এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে এসআই মহিন উদ্দিন আন্তরিকতার সাথে বিষয়টা তদন্ত করেন। এবং ন্যায় বিচার পাবো বলে তিনি আমাকে আশ্বস্থ করেছেন। উনার মত পুলিশ অফিসার প্রতিটি থানায় থাকলে কোন কোন প্রভাবশালীর হাতে গরীব মানুষরা নির্যাতিত হতো না। উনার চলে যাওয়া আমাদের জন্য খুবই হাতাশার। আমরা উনার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।
উল্লেখ্য, এসআই মোঃ মহিন উদ্দিন সরকারি নিয়ম মোতাবেক (ডিএমপি) ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশে যোগদান করার জন্য সুনামগঞ্জ থেকে ছাড়পত্র গ্রহন করেছেন।