সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহব্বায়ক কমিটির সদস্য ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পুত্র বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহব্বায়ক আরিফ রাব্বানী হিমেলের নেতৃত্বে চাঁদাবাজ দল সম্প্রতি ফতেপুর ইউনিয়নের রঙ্গিয়ারচর এলাকায় সরকারি আশ্রয়ণ কেন্দ্রর নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্টদের নিকট চাঁদা দাবি করে। প্রতিবাদ করে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির অপর একটি অংশ নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্টদের চাঁদা দিতে বারণ করে। ২২ ডিসেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় চাধা না দিতে বারণ করায় জেলা বিএনপি’র আহবাব কমিটির সদস্য শফিকুল ইসলামের ছেলে হিমেল ক্ষিপ্ত হয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানা ভবনের সামনে হামলা চালায়। এক পর্যায় হিমেলসহ অন্যরা বিএনপি নেতা আব্বাছ আলীর বন্ধ দোকান ও নির্জন বাসাবাড়ীতে হামলা চালিয়ে পল্লী বিদ্যুতের মিটার ভেঙ্গেচুরে ও বাসার তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় হিমেলের পক্ষের পলাশ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী মুক্তিখলা গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে কোহিনূর (২৫) আহত হয়ে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। উপজেলা বিএনপি নেতা আশিক আপন চাচাতো ভাই মুক্তিখলা গ্রামের এখলাছুর রহমানের ছেলে মিছবাহ(৩৫) আহত হয়ে সিলেট উছমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা বিএনপি’র অনেক সিনিয়র নেতারা এই বাপ ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মান সম্মানের ভয়ে মুখ খুলছে না। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপি’র আদর্শকে ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে বলে অনেক নেতাদের মুখরোচক আলোচনা । এ বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির নেতা আব্বাস আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও তার ছেলে মিলে চাদাবাজি, চোরা চালান সহ এলাকায় বিভিন্ন অকারেন্স করে মানুষকে হয়রানি করছে। বিএনপি-র নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় একটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাচ্ছে । এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায় কমিটির সদস্য শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি এলাকায় নেই, আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা।