1. mdjoy.jnu@gmail.com : admin : Shah Zoy
  2. satvsunamgonj@gmail.com : Admin. :
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
  •                          

হাওরাঞ্চলের কথা ইপেপার

ব্রেকিং নিউজ
কোম্পানীগঞ্জে বেপরোয়া বালু সিন্ডিকেট: ঝুঁকিতে ধলাই সেতু সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে আমাকে সহযোগিতা করুন— এড. শিশির মনির ৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার জামালগঞ্জে যুবদের নিয়ে দিনব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত প্রশাসনের নাকের ঢগায়: ছাতকে সুনাই নদীর বালু উত্তোলনে আ’লীগ সিন্ডিকেট চক্র! দৈনিক ইনফো বাংলা ৯ম বছরে পদার্পন উপলক্ষ্যে দ্বৈত ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ‘হায় মুজিব হায় মুজিব’ মাতম করা সমালোচিত ও বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতা হাজি ইকবাল গ্রেপ্তার সিলেটে বীমা কর্মকর্তা ও সমাজসেবক বদরুজ্জামানের উপর হামলা: স্ত্রীকে শ্লিলতাহানীর অভিযোগ ধর্মপাশায় পাইকুরাটি ইউনিয়ন শাখা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি গ্রেপ্তার গণতান্ত্রিক, আধুনিক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবেঃকয়েস লোদী

বাশেঁর সাকো জীবন ঝু্ঁকি নিয়ে পারাপার শত শত শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষের

Reporter Name
  • আপডেট করা হয়েছে সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:

সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ারে বাসলেও এখনও বঞ্চিত রয়েছে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের পাঞ্জিপুরি—খাড়াভরা—বড়ই আইল—পইল গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। তারা যেন একটি দ্বীপের মধ্যে বসবাস করছেন। মাত্র ১ কি:মি: রাস্তা ও পালেশ্বর খালের উপর একটি সেতুর অভাবে জীবনের ঝুকি নিয়ে বাশের সাকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ চার ইউনিয়নের মানুষ। পালেশ্বর খালের উপর সেতু ও ১০কি:মি: রাস্তা নির্মানের দাবীতে বার বার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিসহ সরকারী কর্মকতার্দের দোয়ারে দোয়ার ঘুরছেন এলাকাবাসী।

জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি’র আমল থেকে রাস্তাটি নির্মানসহ পালেশ্বর খালের উপর সেতু নির্মানের দাবীতে আবেদন নিবেদন করে ২০২৩ সালের জানুয়ারী মাসে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা,ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়কে অনুর্ধ ১০০ মিটার সেতু নির্মান প্রকল্পের আওতায় ৯ কোটি ৪৪ লাখ বরাদ্দ দেয় সরকার।

৫ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল মন্ত্রনালয় থেকে সেতুর এপ্রোচের জায়গাটি অধিগ্রহনের নির্দেশনা প্রদান করেন সিলেট জেলা প্রশাসককে কিন্তু স্থানীয় একটি দুষ্টচক্রের মিথ্যা অভিযোগ, অধিগ্রহন শাখা ও এলজিইডি’র কর্মকতার্দের গাফিলতির কারণে সেতুটি নির্মান কাজ শুরু করতে পারছে না ঠিকদারী প্রতিষ্ঠান। পইল গ্রামের সেলিম আহমদ গং এই সেতু ও রাস্তা নির্মানের বিরুদ্ধে বার বার মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ করায় বিপাকে পড়েন এলজিইডিসহ প্রশাসন। চারখাই ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও মাত্র ১ কি: মি: রাস্তা ও একটি সেতু না থাকায় ৩টি ইউনিয়ন ঘুরে মেইন সড়কে উঠতে হয় তাদের।

স্থানীয় বাসিন্দা ও বড়ই আইল জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী বুরহান উদ্দিন জানান, আমরা একটি সেতুর অভাবে খুব কষ্টে চলাফেরা করতে হচ্ছে। সামান্য ১ কি:মি: রাস্তা ও পালেশ্বর খালের উপর একটি সেতুর অভাবে স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি বাশের সাকো দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে আমাদের। একজন রোগী নিয়ে মেইন রোডে যেতে যেতে রোগী মারা যায়। আমাদের ভোট কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক, একটি দ্বীনি মাদ্রাসা ও একটি বড় বাজার পইল গাও গ্রামে। আমাদের রাস্তা ও সেতু না থাকায় খুব কষ্টে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে। প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী জীবনের ঝুকি নিয়ে বাশের সাকো দিয়ে পার হতে হচ্ছে। পইল গাও গ্রামের একটি দুষ্টচক্রের বাধার কারণে সেতুটির নির্মান কাজ শুরু করতে পারছে না। সকল জায়গার মালিক হচ্ছে সরকার এবং তার প্রতিনিধি জেলা প্রশাসক। যে কোন জায়গায় সরকারী স্থাপনা নির্মান করতে হলে সরকার ভুমি অধিগ্রহন করতে পারেন। সেতুর পশ্চিম পার্শ্বে মাত্র ৬ শতাংশ জায়গা ছাড়তে অস্বীকার করছে কিন্তু হাজার হাজার মানুষের সুবিধার জন্য একজন কিংবা একটি পরিবার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারেন না। তাদের ৬ শতক জায়গা দেয়ার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারসহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তাদের কাছে গিয়েছি এবং তাদের ৬শতক জায়গার পরিবর্তে ১৫শতক জায়গা দেয়ার অনুরোধ করেছি কিন্তু তারা দিতে রাজি হচ্ছে না। আমরা চাই জেলা প্রশাসক মহোদয় উক্ত জায়গাটি অধিগ্রহনের মাধ্যমে সেতুসহ রাস্তা নির্মান কাজে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

অভিযোগকারী ও ৬শতক ভুমির মালিক সেলিম আহমদ জানান, আমার আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীর অনুরোধে জায়গাটি সেতুর জন্য দিতে পারছি না। স্বজনদের বাদ দিয়ে একার পক্ষে রাস্তার জন্য জায়গাটি ছাড়া সম্ভব নয়। এ ছাড়াও  সেতুর এপ্রোচের জায়গা দেয়া হলে পরবতীর্তে রাস্তার জন্য আমার জায়গা দিতে হবে। তাদের চলাচলের জন্য জন্য বিকল্প রাস্তা আছে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠনের কর্ণধার সামসুল ইসলাম বাবুল জানান, আমি সেতুর কাজ করতে বার বার নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনুরোধ জানিয়েছি কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলী আমাকে জানান, টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে সেতুর সাইট বুঝিয়ে দিতে পারছেন না। আমাকে যখনই সাইট বুঝিয়ে দিবেন তখনই সেতু নির্মানে কাজ শুরু করব।

এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী কেএম ফারুক আহমদ জানান, আমরা অনেক আগেই টেন্ডার করেছি কিন্তু স্থানীয় বাধার কারণে সঠিক সময়ে ঠিকাদারকে সাইট বুঝিয়ে দিতে পারি নাই। ভুমি অধিগ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসককে যাবতীয় কাগজপত্র দাখিল করেছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভুমি অধিগ্রহনের কাজ শেষ করে সেতু নির্মানের কাজ শুরু করতে পারবেন ঠিকদারী প্রতিষ্ঠান।

চারখাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন চৌধুরী মুরাদ জানান, পালেশ্বর খালের উপর একটি সেতু খুবই দরকার। সেতু নির্মানের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে রেজুলেশন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার্ বরাবরে পাঠিয়েছি। স্থানীয় একটি মহলের বাধার কারণে সেতু নির্মানের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তবে সেতুর পশ্চিম পার্শ্বের ব্যক্তি মালিকানাধীন ৩টি দাগের মধ্যে ১টি দাগের ৬শতক জমি অধিগ্রহন করা হলেই নির্মান কাজ শুরু করা যাবে। সেতু নির্মানের জন্য প্রায় তিন বছর আগে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং ঠিকাদারও নিয়োগ করা হয়েছে। আশা করছি জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে এলাকাবাসীর স্বার্থে সেতু ও রাস্তা নির্মানে এগিয়ে আসবেন।

জেল প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ জানান, জায়গাটি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে কিছু জামেলা ছিল। আমার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সরজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভুমি অধিগ্রহন করে এলজিইডিকে সেতু নির্মানের জন্য জায়গাটি বুঝিয়ে দিতে পারব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন