জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার প্রিন্ট ও অনলাইন ভার্সনে ‘‘ ফ্যাসিস্টের দোসর: ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী জাহাঙ্গীরের সম্পদের পাহাড়, একই কর্মস্থলে ১৭ বছর’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত সংবাদে আমার বিরুদ্ধে কাল্পনিক তথ্য উপস্থাপন করে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে। যাহাতে উল্লেখ করা হয়েছে সিলেটের উপশহরে দুটি আলিশান বাসা নির্মান করা হয়েছে।

প্রকৃত পক্ষে ‌এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, আমার কিংবা আমাদের কোন বাসা নেই। কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে একই কর্মস্থলে অত্যন্ত নিষ্টার সাথে কর্মরত আছি। আমারমত অনেকেই দীর্ঘ বছর ধরে একই কর্মস্থলে চাকুরী করছেন। আমি কাহাকেও চাকুরী দেইনি কিংবা দেয়ার ক্ষমতা নেই। আমি কর্তৃপক্ষের সন্তুষ্টিতেই সরকারী বিধি মোতাবেক চাকুরী করে আসছি। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যখন যা নির্দেশনা দিয়েছেন সে অনুযায়ী আমি কাজ করে যাচ্ছি। আমি কখনও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেখে কর্মস্থল ত্যাগ করি নাই।

আমি কাহাকেও পেনশন পাইয়ে দিতে কোন ধরনের সহযোগিতা করি নাই। এমনকি সরকারী বরাদ্দের কোন অর্থ আমি আত্মসাৎ করি নাই। যে যে খাতে খরচ করার কথা তা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনানুযায়ী বিধি মোতাবেক খরচ করা হয়েছে। আমি কর্তৃপক্ষ নই যে, আমার ইচ্ছামত আমি বরাদ্দের অর্থ ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করতে পারব। যাদের নামে ব্যাংক হিসাব রয়েছে উনারাই নিজ নিজ বিবেচনায় খরচ করিয়াছেন। ইহাতে আমার কোন দায়-দায়িত্ব নেই। জৈষ্ট্য কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করার কোন সুযোগ নেই এবং ইহার কোন দালিলিক তথ্য প্রমান নেই।

সম্পুর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এবং ক্ষতি করতেই একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। বিদেশ ভ্রমনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আমি কখনও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেখে বিদেশ ভ্রমন করি নাই। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি এবং সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি অনুরোধ প্রতিটি তথ্য উপাত্ত যাচাই করে বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ করছি।

মো: জাহাঙ্গীর আলম

পরিবার পরিকল্পনা সহকারী

ফেঞ্চুগঞ্জ,সিলেট।