স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অধীনে শহরতলীর হযরত শাহপরান (র:) থানার নবাগত ওসি আবুল খায়ের যোগদানের পর থেকেই পাল্টে গেছে সেবার মান, খশি সাধারন মানুষ। সেবা নিতে আসা সাধারন মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করছেন। জিডি কিংবা অভিযোগ নিতে কাহারো কাছে ধর্ণা দিতে হয় না। কোন ধরনের তদবির ছাড়াই নির্বিঘ্নে সেবা পাচ্ছেন সাধারন মানুষ। এ ছাড়াও চুরি, ছিনতাই, মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং সহ অপরাধ দমনে কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। সর্বপরি শাহপরান থানা এলাকায় যাবতীয় সামাজিক অপরাধ দমনে কঠোর হস্তে দমন করছেন ওসি আবুল খায়ের।
জানা যায়, ওসি আবুল খায়ের শাহপরান থানায় যোগদানের পর থেকে দালাল সিন্ডিকেট মুক্ত করতে পেরেছেন। চোরাচালান কিংবা মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রতি দিনই চলছে সাড়াশি অভিযান। অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন। ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদের গ্রেফতারে শাহপরান থানা পুলিশ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন। চোরাচালান ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় কমেছে চোরাচালান ও মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের উৎপাত। মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাচালানীরা সুযোগ না পাওয়ায় ওসি আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে অপ্রপ্রচার চালাচ্ছেন।
মুরাদপুর গ্রামের যুবক নজরুল ইসলাম জানান, বর্তমান ওসি সাব থানায় যোগদানের পর মিথ্যা মামলা অনেক্ষাংশে কমেছে। আগে থানায় দালালে ভরপুর ছিল। দালাল ছাড়া কোন মামলা কিংবা জিডিও রের্কড করা সম্ভব হতো না। বর্তমানে নিজের অভিযোগ নিজেই দাখিল করতে হয় এবং কোন ধরনের টাকা পয়সা লাগে না।
শাহপরাণ থানায় ওসি হিসেবে বিগত ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখে যোগদানের পর থেকে থানা এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ভুমিদস্যূতাসহ সকল অপরাধ কমে এসেছে। থানা এলাকায় চুরি, ডাকাতিসহ ছিনতাইয়ের মত অপরাধ নেই বললেই চলে।
ওসি মোঃ আবুল খায়ের শাহপরাণ থানায় যোগদানের পর থেকে নিজ যোগ্যতা ও পেশাদারিত্ব দিয়ে থানার সচেতন ও সাধারণ মানুষের মন জয় করতে পেরেছেন। যে কোন মানুষ থানায় গেলে ওসি’র ব্যবহারে সন্তোষ্ট হয়ে ফিরছেন। হাসি মুখে মানুষকে সেবা দিচ্ছেন। সত্য ঘটনার ছাড়া কোন ধরনের মিথ্যা অভিযোগও থানায় গ্রহন করছে না।
এ ব্যাপারে ওসি আবুল খায়ের জানান, আমি জণগনের টাকায় বেতন ভাতা পাচ্ছি। কোন দালাল কিংবা চোরাকারবারীর টাকায় বেতন ভাতা নেই নি। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশনা মেনেই থানার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছি এবং সাধারন মানুষ দু:খ পেয়েই থানায় আসেন এবং ন্যায় বিচার পেতে যা যা দরকার তাই করা হচ্ছে। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে পুলিশ পেশাদায়িত্বের সাথে কাজ করছে।