অতি বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে ধর্মপাশা উপজেলার তিনটি ও নব গঠিত মধ্যনগর উপজেলার একটি ইউনিয়নে বন্যার পানি আসায় আমন ধানের ব্যাপক খতি হয়েছে। ধর্মপাশার পাইকুরাটি, সেলবরষ, ধর্মপাশা সদর এই তিনটি ইউনিয়ন ও মধ্যনগরের বংশকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নে মোট ৫২৭০ হেক্টর আমন জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। ধর্মপাশা উপজেলায় এই বছর ৩৯৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৫০০ হেক্টর জমির জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এই এলাকার কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
পাইকুরাটি ইউনিয়নের চকিয়াচাপুর গ্রামের কৃষক রমজান আলী খান বলেন, আমি অনেক কষ্ট করে জালা কিনে বিশ কাঠা জমি রোপন করেছিলাম, এখন পোরুটাই পানির নিচে তলিয়ে গেছে। আল্লাহ জানে সামনে কি অবস্থা হয়।
জিংলীগড়া গ্রামের কৃষক এম কে রব্বানী বুলেট বলেন, আমি ২৫ কাঠা জমি রোপন করেছিলাম, তার মধ্যে ২০ কাঠা জমি পানিতে তলিয়ে গেছে, যদি দুইএক দিনের মধ্যে পানি নেমে যায় তাহলে খতি কম হবে।
ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাল মাসুদ তুষার বলেন, ধর্মপাশার তিনটি ও মধ্যনগর একটি ইউনিয়নে মোট – ৫২৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। আমি গতকাল সব ইউনিয়ন ঘুরে দেখেছি, এখন পর্যন্ত ৫০০ হেক্টর জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। যদি দুই এক দিনের মধ্যে পানি নেমে যায় খতি কম হবে। পানি নামতে দেরি হলে ৫০০ হেক্টর জমির ধান নষ্ট হবে।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ করে পানি বেড়ে গেছে তাই ৫০০ হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। দুইএক দিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে খতির সংখ্যা কম হবে।