সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় নাশতকার প্রস্তুতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সদ্য নিষিদ্ধ সংগঠন ধর্মপাশা উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন (৩৭) ও সাধারণ সম্পাদক আল আমিন খান (৩৪) সহ ১৮জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১৫থেকে ২০জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে ধর্মপাশা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ধর্মপাশা থানায় এই মামলাটি করেছেন। এ ঘটনায় সংগঠনটির উপজেলা শাখার সহ সভাপতি গোলাম মহি উদ্দিন ফরহাদ (৩৭) কে ওইদিন রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলা সদরের বিজয় ২৪ চত্বর এলাকার একটি চায়ের স্টল সংলগ্ন কক্ষ থেকে আটক করেছে পুলিশ। ধর্মপাশা থানা পুলিশ জানায়, উপজেলা সদরের বিজয় ২৪চত্বর এলাকার একটি চায়ের স্টলের পেছনের একটি কক্ষে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন ধর্মপাশা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক সংগঠনটির ৩৫থেকে ৪০জন নেতাকর্মী জড়ো হন। তাঁরা সেখানে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতসহ সার্বিক সরকারি কার্যক্রম ব্যাহত করার মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সরকারি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও ক্ষয়ক্ষতি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে রাত পৌনে ১১টার দিকে সেখানে অভিযান চালানো হয়।৷ এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনটির নেতা কর্মীরা সেখান থেকে দৌড়ে পালানোর সময় সংগঠনটির উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি গোলাম মহি উদ্দিন ফরহাদকে আটক করা হয়। ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, নাশকতার প্রস্তুতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিসিদ্ধ সংগঠন ধর্মপাশা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৮জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১৫থেকে ২০জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। আটক থাকা গোলাম মহি উদ্দিন ফরহাদকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্ঠা চলছে।মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।