সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় অসাধু কিছু লোকজন অবৈধ ভাবে লড়ি ও ইঞ্জিন চালিত হেনট্রলির মাধ্যমে গেকুমেসিনে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছে। সরকারী জায়গা ও মালিকানা জায়গা থেকে মাটি কেটে নিয়ে আসছে কোন সরকারি অনুমোদন ছাড়া। তাছাড়া ধর্মপাশা উপজেলা প্রশাসনে উদাশিনতার কারনে বেশি সুযোগ পেয়েছে। গ্রামিন রাস্তা ঘাট ভেঙে জন জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এতে ছোট বড় দুর্ঘটনার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ছে। গতকাল শুক্রবার উপজেলার সদরের কান্দাপাড়া খবর নিয়ে দেখা যায়, মালিকানা ও সরকারি খাস জায়গা থেকে মাটি কেটে বাসাবাড়ি ও ইট ভাটায় অবাধে মাটি বিক্রি করছে অসাধু ব্যক্তিরা। এসব গাড়ি উপজেলার বাহিরে দিনরাত অবাধে চলাচল করলেও উপজেলা সদরে চলে গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত। এসব গাড়ির দাপটে গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ভেঙে খানাখন্দের তৈরি হয়েছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় এমন পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন এলাকাবাসী। পাইকুরাটি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়াড মেম্বার মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, গতকাল শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বালিজুরী গ্রামে মাটি বোঝাই লড়ি’র চাপায় লাবিব মিয়া (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। লাবিব ওই গ্রামের কৃষক কামাল মিয়ার ছেলে। আর কত প্রাণ গেলে প্রশাসন সক্রিয় ভূমিকা রাখবে? সুখাইর রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকারম হোসেন বলেন, এই সময়টা এলে অবৈধ ভাবে লড়ি দিয়ে মাটি নেওয়ায় রমরমা ব্যবসা চালায় কিছু অসাধু ব্যাক্তি। গেকু মেশিন দিয়ে সরকারি খাস জায়গা থেকে মাটি এনে বিক্রিকরে । রাস্তা ঘাট ভেঙে ও জনগণ চলাফেরা করতে পারেনা। প্রতিদিন দূর্ঘটনার ঘটছে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি কটুর ভাবে দমন করার জন্য । সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনওকে কঠুর ভাবে নিদর্শনা দেওয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনীয় আইগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।