অনলাইন ডেস্কঃ দ্রুতগতিতে লাগামহীনভাবে লাফিয়ে ছুটছে নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতির ঘোড়া। এর সাথে পাল্লা দিয়ে দফায় দফায় অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে শিক্ষা সামগ্রীর দাম। বাধাই করা খাতা, দিস্তা কাগজ, কলম, পেন্সিল, রং পেন্সিল, স্কেল, জ্যামিতি বক্স, সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর, বই, ব্যাগমসহ হেন কোন শিক্ষা উপকরণ নেই যেটির দাম বাড়েনি। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকমহলে উঠছে নাভিশ্বাস। চলতি বছরের ৮ মাসে সবধরনের শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়েছে ৩০-৪০ শতাংশ। ২ মাসের ব্যবধানে ২০ টাকার খাতা এখন ৩৫ টাকা ও ৫ টাকার কলম বিক্রি হচ্ছে ৭ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে জড়িত বেশিরভাগ পণ্যের দাম কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। কোন কোনটি আবার দ্বিগুণও ছাড়িয়ে গেছে। এমন অবস্থায় সন্তানদের পড়াশুনা চালিয়ে নিতে বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো খাবার-দাবার কিংবা অন্যান্য খরচ থেকে কাটছাট করে কোন মতে সন্তানের পড়াশুনার খরচ যোগাচ্ছেন। আর নিম্নবিত্তদের কারো কারো সন্তানের পড়াশুনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বই-খাতার পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি শিক্ষা-উপকরণের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। মানভেদে খাতার দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ৫০ টাকা। কলমের দাম বেড়েছে ডজনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা। মার্কিং করার ছোট কালার পেনের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। আগে যে প্রাকটিক্যাল খাতা ৮০ থেকে ৮৫ টাকা ছিল, এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৫০ টাকায়। স্টিলের স্কেল ২০ টাকা ও প্লাস্টিকের স্কেলের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। জ্যামিতি বক্সের দামও বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বাজারে ফটোকপির চার্জও বেড়েছে। আগে এক পৃষ্ঠা ফটোকপি করতে খরচ হতো দেড় থেকে দুই টাকা। এখন খরচ হয় দুই থেকে আড়াই টাকা। পাড়া-মহল্লায় ফটোকপির চার্জ নেয়া হচ্ছে ৩ টাকারও বেশি। প্রতিটি প্লাস্টিক ফাইলের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। প্রতি ডজন পেনসিল ও রাবার ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে অভিভাবকদের।
রোববার সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, বই, খাতা, কলম, পেন্সিল, জ্যামিতি বক্স থেকে শুরু করে সব শিক্ষাসামগ্রীর দাম বেড়েছে। আগে ৬৫ গ্রাম কাগজের রিম বিক্রি হতো ১ হাজার ২৮৫ টাকায়। এখন সেই কাগজ ২ হাজার ৬০০ টাকা কিনতে হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রীত ৫৫ গ্রাম কাগজ ২০২১ সালে ছিল ১ হাজার ৮৫ টাকা, ২০২৩ সালে এসে তা বেড়ে ২ হাজার ৫০ টাকা হয়েছে।
প্রতিটি ছোট খাতার দাম ২০ থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে। মাঝারিগুলো ৩০ থেকে বেড়ে ৪০ টাকা হয়েছে। ১২০ পৃষ্ঠা খাতার দাম বর্তমানে ৫০ টাকা, যা পূর্বে ছিল ৩০ টাকা। ২০০ পৃষ্ঠার দাম ৫০ থেকে বেড়ে ৮০ টাকা। ৩০০ পৃষ্ঠার দাম ১২০-১৫০ টাকা, যা বছরখানেক আগেও ছিল ৬০-৭০ টাকা। অন্যদিকে কলমের দামও বেড়েছে। ৫ টাকার কলমের দাম বেড়েছে ২ টাকা। ১০-১৫ টাকা দামি কলমের দাম ৫ টাকা বেড়েছে। পেন্সিলের দামও প্রায় এমন হারে বেড়েছে। কোম্পানিভেদে জ্যামিতি বক্সের দাম ২০-৩০ টাকা করে বেড়েছে। এ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ স্কেল ও ব্যাগের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বিষয়ে নগরীর একাধিক ব্যবসায়ী জানান, গত এক বছরে কাগজের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। প্রতি মাসেই বাড়ছে কাগজের মূল্য। আ দাম বাড়ায় ব্যবসাও কম হচ্ছে। কাগজের দাম বাড়ায় বইয়ের দামও বাড়ছে। চলতি বছরে প্রায় সবধরনের বইয়ের দাম ৩০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে ।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে হাওরঅঞ্চল থেকে সিলেটে এসেছিলাম। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও শিক্ষাসামগ্রীর দাম বৃদ্ধিতে চরম অস্বস্তিতে আছি। বই, খাতা, শিট ফটোকপি সবকিছুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। টাকার জন্য বই না কিনে অনেক সময় বন্ধুদের কাছ থেকে ধার করে পড়তে হয়। টিউশনের সম্মানী কম। থাকা-খাওয়া ও পড়াশোনার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছি। এভাবে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে না প্রকাশে অনিচ্ছুক শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, বর্তমানে সব জিনিসের ন্যায় শিক্ষা উপকরণের দামও অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। শিক্ষা খাতে ভর্তুকি দিলে এ সমস্যা থেকে কিছুটা লাঘব করা সম্ভব হবে। শিক্ষা হচ্ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ খাত। এখাতে ভর্তুকি দিয়ে হলেও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা জরুরী।
নগরীর একটি স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সজিব জানান, আমাদের প্রতিমাসেই ম্যাথ করতে অন্তত ২টা খাতা লাগে। যে খাতাটা আগে ৩০ টাকায় পেতাম এখন তা কিনতে লাগে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। বইপুস্তকের দাম তো বাড়ছেই। কলমের মূল্যটা দীর্ঘদিন এক জায়গায় ছিলো। সেটাও এবার বেড়েছে। এদিকে বাবার সামান্য রোজগারে নিজেদের সংসারই চলে না। তার উপর আমার পড়াশোনার খরচ চালাতে হয়।
নগরীর একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল আনাস বলেন, মাস শেষে টিউশনি করে যে টাকাটা পাই তা দিয়ে কোনো রকমে খেয়ে পরে বেঁচে থাকি। পরিবারের অবস্থাও নাজুক, তাদেরকে না পারতেছি কিছু দিতে আর না পারতেছি কিছু নিতে। তাই এমনিতেই বই-পুস্তক তেমন একটা কেনা হয় না। এদিকে শিক্ষা সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তা তো আরো বেশি সঙ্কুচিত হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগরীর সুবিদবাজারের একজন অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। ওর অনেক খাতার দরকার হয়। আগে বিভিন্ন কোম্পানির বাইন্ডিং খাতা কিনে দিতাম। দাম বাড়ার কারণে খাতা কেনা কমিয়ে দিয়েছি। এখন দিস্তা খাতাই বেশি কিনে দিচ্ছি। সেই দিস্তা খাতার দাম এক বছরে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। শুধু খাতাই নয়, প্রতিটি শিক্ষা-উপকরণেরই দাম বাড়ছে। সন্তানের লেখাপড়ার খরচ জোগাতেই এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে।
শিক্ষা সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তির সাথে আলাপকালে জানা গেছে, শিক্ষা উপকরণের মূল্য বৃদ্ধিতে অবশ্যই গোটা শিক্ষার উপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। কারণ বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে এসেছে এবারের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় আগের চেয়ে শিক্ষার্থী কমেছে। বেড়েছে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। ফলে নিম্ন আয়ের পরিবার তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ বহনে অনেকটাই অক্ষম হয়ে পড়বে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জানুয়ারী মাসে নগরীর বিভিন্ন দোকানে এফোর ৮০ গ্রাম কাগজের দাম ছিল ৪০০ টাকা, এখন সেটি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লিগ্যাল কাগজের দাম ছিল ৫০০ টাকা, সেটি এখন ৬০০ টাকা, রিম কাগজ ২৩-৩৬ সাইজের দাম ৪০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০০ টাকা, ৫৫ গ্রাম কাগজ ২৩-৩৬ সাইজের দাম ৪৫০ টাকা থেকে এখন ৬০০টাকা। ৩০০ পেইজের খাতা ১০০ টাকা থেকে ১২০-১৫০ টাকা, বসুন্ধরা ৩০০ পেইজের খাতা ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, ২০ টাকার খাতা ৩০ টাকা, ৪০ টাকার খাতা ৬০ টাকা, প্রতি ডজন কলমের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা করে বেড়েছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সিলেটের সম্পাদক ও নগরীর চৌহাট্টাস্থ সিলেট মডেল লাইব্রেরির পরিচালক মিজানুর রহমান দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, দেশে বর্তমানে সঙ্কট চলছে এটা ঠিক। চলতি বছরের শুরুতে আমরা দেখেছি কাগজ সঙ্কটের কারণে সময়মতো পাঠ্যবই প্রকাশ ও বিতরণ নিয়ে সঙ্কটময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। শিক্ষা হচ্ছে জাতির মেরুদন্ড। এই খাতটাকে সবকিছুর আগে গুরুত্ব দিতে হবে। কাগজের দাম যদি দফায় দফায় বাড়ে তাহলে এর প্রভাব গোটা শিক্ষাব্যবস্থায় পড়ে। নিত্যপণ্যের সাথে পাল্লা দিয়ে শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা উপকরণ কেনা কমিয়ে দিয়েছে।
তিনি জানান, আমরা যারা লাইব্রেরী কিংবা শিক্ষা উপকরণ ব্যবসার সাথে আছি। তারা উভয় সঙ্কটে দিনাতিপাত করছি। একদিকে আমাদের নির্দিষ্ট আয় করা সম্ভব হচ্ছেনা, অপরদিকে আয় করতে গেলে অভিভাবকরা শিক্ষা উপকরণ কিনতে পারবেনা। তাই বাধ্য হয়ে আমরা মুনাফা কমিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এভাবে কতদিন সম্ভব হবে। আমাদের প্রত্যাশা অন্যান্য সেক্টর থেকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা সেক্টরকে দেখতে হবে। শিক্ষা উপকরণের দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। অন্যথায় এর প্রভাব গোটা শিক্ষাক্ষেত্রে পড়লে দেশ জাতি ও রাষ্ট্রের অপুরনীয় ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, শহরের থেকে আরো খারাপ পরিস্থিতি বিভিন্ন জেলা উপজেলায়। সেখানে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মাধ্যম খাতা কলমের দাম বৃদ্ধিতে অভিভাবকদের এখন দিশেহারা অবস্থা। অভিভাবকরা মেটাতে পারছেনা শিক্ষার্থী ছেলে মেয়েদের চাহিদা। দুঃসহ পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে সুনামগঞ্জ জেলার দিনমজুর রহিম উদ্দিন জানান, চলতি আগস্ট মাসে খাতা কলম কিনতে গিয়ে তিনি হতভম্ব হয়ে গেছেন। ১৮ টাকা দিস্তার কাগজ ৩০ টাকা, ২০ টাকারটা ৩৫ৃ টাকায় উঠেছে। তার ২ টা সন্তানের ১টা ৩য় শ্রেণীতে পড়ে আর আরেকটার বয়স ২ বছর। ১ সন্তানের পড়ালেখার ব্যয় মেটাতে গিয়ে তিনি দিশেহারা। রহিম উদ্দিন বলেন, শিক্ষা উপকরণের এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে দোকানিরা তাকে বলেছেন, আমরা কি করবো, কাগজের দাম বাড়ছে ৮ মাস ধরে। এরমধ্যে চলতি বাজেটের পর জুন-আগস্ট ৩ মাসে বেড়েছে দুই দফা। এভাবে চললে ব্যবসা গুটানো ছাড়া উপায় থাকবেনা। যাদের দুই চারজন ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করে তাদের যে কী অবস্থা ভাবতেও মাথা ঘুরে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোচিং ও প্রাইভেট ফিও বেড়ে গেছে। অথচ আয় বাড়েনি। ফলে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। সবমিলিয়ে অভিভাবকরা চিন্তিত সন্তানের শিক্ষা ভবিষ্যৎ নিয়ে। তাদের দাবি দেশে সঙ্কট আছে ঠিক। তবে সবার আগে শিক্ষা খাতকে গুরুত্ব দেয়া উচিত। শিক্ষা উপকরণের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে অনেক শিক্ষার্থীর পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সিলেটের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও অভিভাবকগণ জানান, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এই সময়ে শিক্ষা সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি মধ্যবিত্তদের জন্য মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। কিন্তু শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়ার বিষয়ে সেভাবে আলোচনায় আসে না। কেউ দেখেও যেন দেখছে না। সরকারেরও কোনো মাথাব্যথা নেই। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, সেই শিক্ষা অর্জন যদি ব্যয়বহুল হয় তাহলে নিম্নবিত্ত মানুষরা পড়াশোনা চালাতে নিরুৎসাহিত হবে এবং পড়াশোনা বন্ধ করার মতো সিদ্ধান্তও নিতে পারে অনেকে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই এসব শিক্ষা-সহায়ক পণ্যের ভ্যাট বা ট্যাক্স কমিয়েও যদি দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে। এছাড়াও কাগজের অনিয়ন্ত্রিত মূল্যবৃদ্ধি ও সংকট নিরসনে কাগজের অকেজো কারখানাগুলো চালু করা, কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুতের সরবরাহ করা, কাগজের অপচয় রোধ করা, সিন্ডিকেটের কারসাজি বন্ধ করা, স্বল্প শুল্কে কাগজের কাঁচামাল আমদানি করাসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে কার্যকরী পদক্ষেপের আহ্বান জানান তারা।