সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে সুরমা নদীর নূরপুর ও সোনাপুর এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে অবৈধভাবে ২৩ বালু উত্তোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।রবিবার (২৩ মার্চ) এ অভিযান চলাকালে ৫টি স্টিলবডি নৌকা, ৫টি ছোট কাঠের নৌকা ও ৪টি ড্রেজার মেশিনসহ ৮শ’ ৫০ ফুট বালু ও নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।গ্রেফতারকৃত হলেন- সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর এলাকার ধন মিয়ার ছেলে রশিদ মিয়া, মৃত ময়না মিয়ার ছেলে আঃ শহিদ, মৃত আলতাফ আলীর ছেলে সবুজ মিয়া, আরব আলী ছেলে আলী, মৃত মতি মিয়ার ছেলে আব্দুল করিম, মনফর আলীর ছেলে আব্দুল বাতেন, ইসমাইল মিয়ার ছেলে আসাদ মিয়া, মৃত লাল মিয়ার ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেন, আঙ্গুর মিয়ার ছেলে জিয়াউর রহমান, সুরত আলীর ছেলে ফাহিম আহমদ, লোকমান হোসেনের ছেলে আশিকনুর,ওহিদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া, রইছ মিয়ার ছেলে আল আমিন, দোয়ারাবাজার উপজেলার সোনাপুর গ্রামের ইউনূস মিয়ার ছেলে আজিজুর রহমান, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার আব্দুল জলিলের ছেলে মুমিন মিয়া, জামালগঞ্জ উপজেলার কনু মিয়ার ছেলে জুনু মিয়া, মুর্শেদ মিয়ার ছেলে আব্দুন নুর, মৃত সফর আলীর ছেলে আমির আলী, মতি মিয়ার ছেলে রাকিব হোসেন, রহম আলীর ছেলে মেহেদী হাসান, মতিউর রহমানের ছেলে মুহিতুর রহমান, আমিনের ছেলে শাহিন আলম ও আব্দুল গফুরের ছেলে সাদির হোসেন।স্থানীয় নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা আনর আলী বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ক্রমশ নদীর পার ভেঙে যাওয়াতে রাতদিন আতংক কাটছে গ্রামবাসীর। পার্শ্ববর্তী সোনাপুর গ্রামের সমর উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন যাবত একটি মহলের অব্যাহত বালু উত্তোলনের ফলে আমরা গ্রামবাসী হুমকির সম্মুখিন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ছাতক আর্মি ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন সোয়েব বিন আহমেদ জানান, আটকদের মধ্যে সোনাপুর গ্রামের মৃত আলতাফ আলীর ছেলে সবুজ, আরব আলীর ছেলে জানফর ও মৃত ময়না মিয়ার ছেলে আব্দুস শহীদ নিয়মিত চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে উত্তোলনকারীদের উৎসাহ দিয়ে আসছে।দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হক বলেন, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকারী ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।