সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় আহত হয়ে ৪ দিন সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে বুধবার(১২ মার্চ) ভোর রাতে আব্দুস সামাদ (৩৫) নামে এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। নিহত আব্দুস সামাদ উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের কাউয়াঘর গ্রামের মৃত আনজব আলীর পুত্র ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ই মার্চ শনিবার পারিবারিক বিরোধের জেরে ওয়ারিশ আলী গংদের লোকজন আব্দুল মান্নানের বাড়িতে এসে তাদের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার একপর্যায়ে মারধর শুরু হয়।
মারামারির ঘটনায় আহতের হাসপাতালে পাঠানোর পর এক সালিশের মাধ্যমে এই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়। তবে শালিস না মেনে ওয়ারিশ আলী ও নশাদ আলীর নির্দেশে দিলাল মিয়া, মিজান আহমদ, সফিক আলী, সমজ আলী, সৈরত আলী ও শাজাদ মিয়া আব্দুস সামাদকে এলোপাথারী মারধর করে মারাত্মকভাবে জখম করে।
এ ঘটনায় আহতদের প্রথমে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর আহত আব্দুস সামাদকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতাল প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় গত রবিবার( ৯ মার্চ) দোয়ারাবাজার থানায় ১১ জনকে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গুরুতর আহত সামাদের বড় ভাই আব্দুল মান্নান। অভিযোগ দায়েরের চারদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সামাদের। এর পূর্বে এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকায় দোয়ারাবাজার থানার এসআই আসলাম মিয়ার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ২ আসামীকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জানান, কাউয়াঘর গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় আহতের লোকজন থানায় অভিযোগ দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে দিলাল মিয়া ও সফিক আলী নামের দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ বুধবার আহতদের পক্ষের আব্দুস সামাদ নামের এক ব্যাক্তির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে বলে জেনেছি। এ ঘটনায় অন্য আসামীদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।