নিউজ ডেস্কঃ সিলেটের গোয়াইনঘাট,কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৪ আসন। খনিজ সম্পদ তেল-গ্যাস আর বালু-পাথর-চুনাপাথরের জনপদ এই তিন উপজেলা। খনিজ সম্পদের পাশাপাশি তিন উপজেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও সিলেটের পর্যটনকে করেছে সমৃদ্ধ। দেশের সবচেয়ে বড় পাথর কোয়ারি এই নির্বাচনী এলাকাতেই।ফলে এই আসনের গুরুত্ব সিলেটের অন্য আসনগুলোর থেকে একটু বেশিই বলা চলে। এখানে সংসদ সদস্য হিসেবে আছেন সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
এই নিয়ে ছয় মেয়াদে নির্বাচিত সংসদ সদস্য তিনি। ১৯৮৬, ’৯১, ’৯৬ সালেও এ আসনে বিজয়ী হন তিনি। ’৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান এই আসনে বিজয়ী হন। পরবর্তীতে ইমরান আহমদ উপনির্বাচনে এ আসনটি পুনরুদ্ধার করেন। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি নেতা প্রয়াত দিলদার হোসেন সেলিম এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। অবশ্য ২০০৮ সালে দিলদার হোসেন সেলিমকে হারিয়ে আসনটি পুনরুদ্ধার করেন ইমরান আহমদ। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমদকে হারিয়ে আবার নির্বাচিত হন তিনি। এছাড়াও ইমরান আহমদ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক প্রয়াত দিলদার হোসেন সেলিমকে পরাজিত করে ৬ষ্ট বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ইমরান আহমদ তার নির্বাচনী এলাকায় শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, নিরাপদ পানি ও শতভাগ বিদ্যুতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন। তাই এ আসনের মানুষেরা মনপ্রাণে তাকে ভালবাসে।প্রবীণ এ সাংসদের কর্মগুনে দল থেকে বার বার তাকেই পছন্দের প্রার্থী হিসেবে দেওয়া হয়। আর তিনি সে নির্বাচনে জয়লাভ করে নিজেকে দলের কাছে বারবার প্রমাণীত করেছেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপিকেই পুনরায় সিলেট -৪ অর্থাৎ (গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ) আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান ওই ৩ উপজেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও দলীয় সমর্থকেরা।
৩ উপজেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও দলীয় সমর্থকেরা ইমরান আহমদ এমপির মাধ্যমে সিলেট-৪ আসন আবারো আওয়ামী লীগের দখলে রাখতে চান।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আলাউদ্দিন বলেন, ইমরান আহমদ এমপি শিক্ষা, যোগাযোগ, চিকিৎসা সেবা ও শতভাগ বিদ্যুতায়নের পাশাপাশি বিগত করোনা ও ভয়াবহ বন্যায় তার ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নির্বাচনী এলাকার গরিব-অসহায়, গৃহবন্দী, কর্মহীন মানুষের একজন প্রকৃত সেবক হিসেবে দাড়িয়েছিলেন। ইমরান আহমদ এমপির দ্বারাই সম্ভব এ আসন ঠিকিয়ে রাখা।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহমান, গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ফারুক আহমদ, যুগ্ম আহবায়ক শাহাব উদ্দিন ও আহমেদ মোস্তাকিন, জৈন্তাপুর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন ও যুগ্ম কুতুবউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন পরিক্রমার সাথে গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাকে সম্পৃক্ত করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের নির্বাচনী আসনে ইমরান আহমদ এমপি যেসব উন্নয়ন করেছেন তা অব্যাহত রাখতে এবং এ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে রাখতে ইমরান আহমদের বিকল্প নেই।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী বলেন, ইমরান আহমদ এমপি শুধু একটি নাম নয় একটি প্রতিষ্টানও বটে। ইমরান আহমদ সিলেট -৪ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে জাতীয় সংসদে সুদীর্ঘ ৩০ বছর ধরে প্রতিনিধিত্ব করছেন। গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি পাড়/মহল্লা ও গ্রামের মানুষ, শিক্ষা প্রতিষ্টান, রাস্তাঘাটসহ সকল সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে অবগত রয়েছে। এ আসনে নতুন নেতৃত্বের সুযোগ দিলে গ্রামগঞ্জের সাথে পরিচয় হতে-হতেই কেটে যাবে নির্ধারিত সময়। সুতরাং ইমরানেই আমাদের ভরসা।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া হেলাল বলেন, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে ইমরান আহমদের ভুমিকা রয়েছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ইমরান আহমদের বিকল্প নেই।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য আপ্তাব আলী কালা বলেন, এ আসনের প্রতিটি গ্রাম,পাড়া ও মহল্লায় ইমরান আহমদের উন্নয়ন দৃশ্যমান। তাছাড়া এলাকার প্রতিটি জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সাথে ইমরান আহমদ পরিচিত। এলাকার সার্বিক সমস্যা সমাধান চাইলে এ আসনে ইমরান আহমদকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিতে হবে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তি যোদ্ধা আলী আমজদ বলেন, আম্বরখানা- ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক, হাইটেক পার্কসহ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দৃশ্যমান প্রতিটি উন্নয়নের পেছনে যার শ্রম ও মেধা রয়েছে তিনি হলেন সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি। আওয়ামী লীগ সরকারের চলমান উন্নয়নের মুল স্রোতের সাথে এ আসনকে ধরে রাখতে হলে অবশ্যই ইমরান আহমদকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দিতে হবে। ইমরান আহমদ ছাড়া অন্য কারো হাতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন তুলে দিলে আওয়ামী লীগ এ আসনটি শতভাগ হারাবে বলে গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং দলীয় সমর্থকেরা দৃঢ় বিশ্বাস করেন।
জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমদ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা ও যুগোপযোগী উন্নয়নের দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইমরান আহমদকে অবশ্যই দলীয় মনোনয়ন দিবেন বলে আশা করেন।