সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে ৯ ইউপি সদস্যসহ ইউনিয়নবাসীর আয়োজনে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
শুরুতে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে এক সমাবেশে মিলিত হয়। ইউপি সদস্য কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য নুরুল হুদা, রিয়াশত আলী, মমিন মিয়া, জামাল মিয়া, মেহেদী হাসান হীরা, আমির মিয়া প্রমুখ। এ সময় বক্তারা নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে স্বৈরাচারী চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের পদত্যাগের দাবী জানিয়ে বলেন, স্থানীয় আ’লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেন কামাল চেয়ারম্যান। তিনি তার একক সিদ্ধান্তে পরিষদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
ইউপি সদস্যদের নিয়ে কোন ধরনের সভা সমাবেশ না করে সরকারি বরাদ্দের অর্থ নানাভাবে আত্বসাৎ করে আসছেন। ভিজিডি, ভিজিএফসহ সরকারি সকল সহয়তা তিনি তার খেয়াল খুশিমত বন্ঠণ করেন। যারা নির্বাচনে তার পক্ষে কাজ করেছে এবং চেয়ারম্যানের আত্মীয় স্বজনদের মধ্যেই সেগুলো বিতরণ করেন। এতে আমাদের ৯ ইউপি সদস্যকে স্ব স্ব এলাকার সাধারণ জনগণের হাতে অপমানিত হতে হয়। তাই আমরা সদর ইউনিয়নবাসী দুর্নীতিবাজ ওই চেয়ারম্যানের পদ্যত্যাগের দাবীতে রাস্তায় নেমেছি।
এ সময় ইউনিয়নের সাধরণ ভোটাররা বলেন, আমরা যদি কোন কাজ নিয়ে ইউনিয়নে যাই তাহলে চেয়ারম্যানকে পাই না। উনি সারাবছরই ঢাকায় পড়ে থাকেন। মাসের পর মাস ঘুরতে হয় প্রয়োজনীয় কাজে। তারপর এক একটা কাজে অতিরিক্ত টাকা দাবী করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদে তার রেখে যাওয়া স্বৈরাচারের এজেন্টরা একটা উত্তরাধিকারী সনদ বাবত ৪-৫ হাজার টাকা দাবী করে। এর প্রতিবাদ করে চেয়ারম্যান কামাল হোসেনকে বিষয়টা জানালেও এর কোন সূরাহা হয় না। তিনি উল্টো বলেন আমি কোটি কোটি টাকা খরচ করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি এই পরিষদ আমার ব্যাক্তিগত। আমি যেভাবে চালাই ওইভাবে তোমাদের চলতে হবে।
এমন স্বৈরাচার দুর্নীতিগ্রস্থ চেয়ারম্যান আমরা চাই না। ওই চেয়ারম্যান একজন মাদক ব্যাবসায়ী। উনার ছত্রছায়ায় এলাকার মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে। গত মঙ্গলবার ৪ বস্তা মাদক উদ্ধার করেছে জামালগঞ্জের ছাত্রজনতা। পরবর্তীতে দেখা যায় এই মাদক ব্যাবসার সাথে কামাল চেয়ারম্যান জড়িত। তাই আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওই স্বৈরাচার, মাদককারবারী ও দুর্নীতিগ্রস্থ চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে রাজপথে আরো কঠোর আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি প্রদান করেন বক্তারা।