বিশেষ প্রতিনিধি:
দেশের সার্বিক আইনশৃংখলা বিঘিœত করার হীন উদ্দেশ্যে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ থানার বিরাট গ্রামে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটে ৯ মে ২০২৫ রোজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত।
স্থানীয় সুত্র জানায়, বিরাট গ্রামের রাজারহাটি গ্রামের প্রবাসী নুর মিয়ার বাড়ী থেকে মহিষ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনাটি ঘটে। আমজিরীগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সহ-সাধারন সম্পাদক মো: লোকমান মিয়া ও উপজেলা কৃষকলীগ সাধারন সম্পাদক হুমায়ুনের নির্দেশে বিরাটগ্রামের ৮টি বাড়ীঘর ও দোকান পাঠে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় ৮৪জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০জনকে আসামী করে আজমিরীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বিরাট গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ জজ মিয়া জানান, গেল ৮ এপ্রিল আমাদের গ্রামের প্রবাসী নুর মিয়ার বাড়ী থেকে একটি মহিষ চুরির প্রাক্কালে স্থানীয়রা আরিফ চুরাকে হাতে নাতে ধরে আজমিরীগঞ্জ থানায় সোর্পদ করে এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে মুখলেখা নিয়ে আরিফ চুরাকে ছেড়ে দেয়ার আক্রোষে আক্রোশ্বান্বিত হয়ে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের বাড়ীঘরে ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে। তারই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার প্রায় ৪শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে বিরাট গ্রামের রাজারহাটি গ্রামে সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় বিরাট গ্রামের নিরীহ মানুষ আতংকিত হয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে আমজিরীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও লোকের সংখ্যা অধিক হওয়ায় পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেনি। এ হামলার ঘটনায় বিরাট গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম, সাকিত মিয়ার ছেলে টেনু মিয়া, আছালত মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া, বারেস্টর মিয়ার ছেলে আমজদ মিয়া, কাদির মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া, মিরাশ মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন, জসিম উদ্দিনের স্ত্রী তাজ্জতনেছা, ফরিদ মিয়ার ছেলে কামরান মিয়া, ফরিদ মিয়ার স্ত্রী সুলেনা বিবি , টেনু মিয়ার স্ত্রী আপ্তাবুননেছা গুরুতর আহত হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও রহস্যজনক কারণে তাদের উপযুক্ত চিকিৎসা না দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় এবং গুরুতর আহত জজ মিয়া, সাইফুল ইসলাম সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করে। অপর দিকে গুরুতর আহত গিয়াস উদ্দিন, সোহেল ও জীবন মিয়াকে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্চা লড়ছে।
ক্ষতিগ্রস্থ সাইফুল মিয়া জানান, সম্পুর্ণ অন্যায়ভাবে আমাদের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আমাদের বাড়ীঘর ভাংচুর অগ্নি সংযোগ লুটপাট করেছে। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। গেল ১৫-১৬ বছর ধরে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর বার বার হামলা চালিয়ে আসছে এবং বর্তমানেও জুলুম নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। আমাদের গ্রামের ৮টি বাড়ীঘর ভাংচুর, লুটপাটে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করিয়াছে। আওয়ামীলীগের সহ-সাধারন সম্পাদক লোকমান মিয়ার নির্দেশে ও কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন সরাসরি উপস্থিতিতে মারপিট অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সন্ত্রাসীরা আবারও আমাদের বাড়ীঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের পায়তারা করছে।
এ ব্যাপারে আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুর রহমান জানান, বিরাট গ্রামে সংঘটিত লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগের বিষয়টি খুবই দু:খজনক। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।