নিউজ ডেস্কঃ আসন্ন দ্বানির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইসি আনিছুর রহমান বলেন, বলা যায়, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে আমরা এখনও ভোটগ্রহণের তারিখ ঠিক করিনি।
আজ (শনিবার) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। ইসি আনিছুর রহমান বলেন, আপনারা যারা এখান থেকে প্রশিক্ষণ নেবেন তারা প্রথমে অঞ্চলভিত্তিক প্রশিক্ষণ করাবেন। এরপর অঞ্চলে যারা প্রশিক্ষিত হবেন তারা জেলা পর্যায়ে এবং জেলার প্রশিক্ষিতরা উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেবেন। আমি নিজেও দুইবার সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছিলাম।
ইসি আনিছুর রহমান বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারের ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি ভোটের দিনে। না জানার কারণে অনেকে বিষয়টা জানেন না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলেও করণীয় আছে, আইনে প্রিজাইডিং অফিসারের ভোট বন্ধ করারও ক্ষমতা দেওয়া আছে। সে সময় ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া থাকে, তাও কাজে লাগানোর সুযোগ আছে।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমরা যখন চাকরিতে ঢুকেছি তখন নির্বাচনে কোনোরকম প্রশিক্ষণই হতো না। কিন্তু নির্বাচন তো ঠিকই করতাম। তারপরও নির্বাচন নিয়ে কোনোরকম কথাবার্তা হতো না। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে ততই সবকিছু জটিল হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে নির্বাচনও জটিল হয়ে গেছে। এই জটিল হওয়ার কারণে এতো আইনকানুন ও এতো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। আমাদের নির্বাচন আইন আছে, সেগুলো আপনারা দেখে বা পড়ে নেবেন। আপনাদের কাছে বেশি কথা না বলাই ভালো। নিজে পড়লেই জানা যায় সবকিছু।
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, আপনারা আইনকানুনগুলো ভালো করে দেখে নেবেন, পড়ে নেবেন। নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. আহসান হাবিব খান বলেন, কঠিন প্রশিক্ষণ, সহজ যুদ্ধ। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করার জন্য সকলের সহযোগিতা দরকার। যত সুন্দরভাবে প্রশিক্ষণ হবে, ততই একটা সুন্দর নির্বাচন হবে। আমরা দায়িত্ব নিয়ে ১ হাজার নির্বাচন সুন্দর ও অবাধভাবে করেছি। কোনো কথা ওঠেনি সেসব নির্বাচন নিয়ে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ভূমিকা অনেক।