গত ২৪ ফেব্রুয়ারী তারিখে ৯.৫১ মিনিটে বিশ্বম্ভরপুর ২৪.কম অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালে পরকিয়া প্রেমিকের সঙ্গে উধাও গৃহবধুর আদালতে মামলা শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদটি সম্পুর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও কাল্পনিক। এ ধরনের অপসংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। প্রকৃতপক্ষে আমার দায়েরকৃত সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত ২০০৩) ২০০০ এর ১১(গ)/৩০ ধারার মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করাসহ আমার ও আমার মানিত সাক্ষীদের নৈতিক চরিত্র হননের হীন উদ্দেশ্যে এ ধরনের অপসংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করা হয়েছে। যা মানহানিকর ও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের পরিপন্থি। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর আমাদের তাহিরপুর উপজেলার সাধেরখলা গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র মুছা মিয়ার সাথে ইসলামী শরাশরিয়ত মোতাবেক রেজিষ্ট্রিপৃর্বক আমাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের সময় আমার পিতা উপঢৌকনসহ অনেক দামী দামী জিনিসপত্র প্রদান করেন এবং বিবাহের পর কিছুদিন আমাদের সংসার সুখে শান্তিতে চললেও নারী ও যৌতুক লোভী স্বামীর আসল পরিচয় বেরিয়ে আসতে থাকে এবং আমাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে ভাড়াটিয়া বাসায় রেখে নানানভাবে মানসিক, শারীরিক হয়রানী করা শুরু করে। আমার স্বামী প্রায়ই পরনারীতে আসক্ত হয়ে পড়তো এবং আমার পিতার কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে আসার জন্য প্রায়ই নির্যাতন করতো। আমার স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কৌশলে পিত্রালয়ে চলে আসি এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিষয়টি প্রকাশ করিলে তারা আমাকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। আমার মামলায় যাদেরকে সাক্ষী করা হয়েছে তাদের মধ্যে জুয়েল মিয়া ও হিরু মিয়া আমার মামাত ভাসুর হয়। আমার ভাসুররা বার বার আমার স্বামীকে শুধরানোর জন্য হুশিয়ারি করেছেন। তাদের কথায় কর্ণপাত না করায় আমার ও আমার ভাসুর জুয়েল মিয়াকে নিয়ে কাল্পনিক তথ্য উপস্থাপন করিয়া মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করিয়া আমার ও আমার ভাসুরের মান সম্মান হানি ঘটিয়েছেন। আমার ভাসুরের সাথে আমার ছোট বোন ও বড় ভাই সম্পর্ক। তার সাথে আমার কখনও পরকিয়ায় প্রেমের কোন ঘটনাই ঘটে নাই। মামলার সাক্ষী হওয়ায় তাকে নিয়ে মিথ্যা ও কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করা হয়েছে। আমার স্বামীর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের কারণে পর পর দুটি সন্তান অকালে মারা যায়। আমার দুটি সন্তানই সিজারের মাধ্যমে জন্ম হয়েছিল এবং সিজারের সমূদয় টাকা আমার পিতাই পরিশোধ করেছিল। আমার স্বামী মুসা মিয়া একজন চরিত্রহীন লম্পট ও অর্থলোভী প্রকৃতির লোক। তার নানান অত্যাচারের কারণে ন্যায় বিচার পেতে মাননীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য বার বার হুমকি দামকি দিলেও স্বাক্ষীরা সাক্ষী প্রদানে অনড় থাকায় ভুয়া ও কাল্পনিক তথ্য উপস্থাপন করে চট্টগ্রামে একটি জিডি দায়ের করে আমার লম্পট স্বামী। যার কোন সত্যতা নাই। আমি ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করেছি। আমার ভাসুর জুয়েল মিয়াকে জড়িয়ে যে কল্প কাহিনী সাজিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ধরনের অপসংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
স্বাক্ষরিত/-
( নার্গিস আক্তার )
স্বামী মুসা মিয়া
পিতামৃত মো: রমজান মৌলভী
সাং সাধেরখলা,দক্ষিন বড়দল ইউনিয়ন
তাহিরপুর,সুনামগঞ্জ।