সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে প্রবাসীর বাড়ির কেয়ারটেকারকে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক মিথ্যা স্বাক্ষী প্রদানে ১০০ টাকা মূল্যের তিনটি জুডিসিয়াল স্ট্যম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত রবিবার আমলগ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জগন্নাথপুর জোন আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জগন্নাথপুর উপজেলার হাসিমাবাদ গ্রামের মৃত আমিরুল ইসলামের পুত্র মো: নজরুল ইসলাম (৩৯)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ইংল্যান্ড প্রবাসী আব্দুল আহাদের বাড়ি ও জায়গা জমি দেখাশুনার কাজ করতেন নজরুল ইসলাম (৩৯)।
এরই সুবাধে প্রবাসী আব্দুল আহাদের সাথে আব্দুল গফুর (অপু) গংদের জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দায়ের করা মামলায় তিনি বাদী পক্ষের স্বাক্ষী হওয়ায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আব্দুল গফুর, মাসুক মিয়া, ছাঈদ মিয়া ও হাসির আলী। যারা এলাকায় অত্যন্ত উগ্র, দাঙ্গাবাজ ও আইন অম্যান্যকারী লোক হিসাবে পরিচিত। এছাড়াও আব্দুল গফুর গংদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারনা মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এ সকল দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে তাকে স্বাক্ষী দেয়ার কারনে ভয়ভীতি ও হুমকি-দামকিসহ প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে। নজরুল ইসলাম যদি স্বাক্ষী দেয় তাহলে তাকে প্রানে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে মিথ্যা স্বাক্ষী দেয়ার কথা বলে। এতে রাজি না হওয়ায় আব্দুল গফুর (অপু) গংরা আব্দুল আহাদের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে নজরুল আসলামকে অবরোধ করে এবং মিথ্যে স্বাক্ষী দেয়ার জন্য এফিডেভিটে স্বাক্ষর করতে বলে।
এতে রাজি না হওয়ায় বন্দুক দিয়ে তাকে প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে তাকে একটি গাড়িযোগে অপহরণ করে সুনামগঞ্জ সদরে নিয়ে যায়। অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে তিনটি স্টাম্পে তার স্বাক্ষর নেয়। প্রাণ বাঁচাতে নিরুপায় হয়ে স্বাক্ষর করে নজরুল ইসলাম। স্টাম্পে স্বাক্ষর করার পর ফের গাড়িযোগে আসামীরা তাকে জগন্নাথপুর উপজেলার সুইসগেট এলাকায় নামিয়ে দেয়। এবং এই ঘটনা কাউকে জানাইলে বা মামলা দায়ের করলে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। প্রানের নিরাপত্তার আশায় নজরুল ইসলাম একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলাটি আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখার ডিবি ওসিকে দ্বায়িত্ব প্রদান করেন।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বার বার ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়ায় আব্দুল গফুরের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।
এ ব্যপারে ডিবির ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, মামলাটি পেয়েছি। সঠিকভাবে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।