নিউজ ডেস্ক :: সিলেট সিটি করপোরেশনের ড্রেন নির্মাণের কাজে অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। লোকচক্ষুর আড়ালে দেড় ফুট ড্রেনের উপর ৬ ফুট স্ল্যাব নির্মাণের চেষ্টা চালিয়েছেন ঠিকাদার। কিন্তু স্থানীয় লোকজন দৃশ্যটি দেখে ফেলায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে কাজে অনিয়মের বিষয়টি জানা নেই বলে দাবি করেছেন সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান।
জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশনের ৮নং ওয়ার্ডের আখালিয়া নয়াবাজার এলাকায় ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছিল। রাস্তার পাশের পুরনো ড্রেন ভেঙ্গে ৬ ফুট প্রশস্ত করে নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে গেল কয়েক মাস ধরে ড্রেন নির্মাণের কাজ বন্ধ ছিল। গত বৃহস্পতিবার সকালে ড্রেনের অসমাপ্ত কাজ শুরু করেন ঠিকাদারের লোকজন। এসময় পুরনো দেড় ফুটের ড্রেন না ভেঙ্গে সেটির উপর ৬ ফুট প্রশস্ত স্ল্যাব নির্মাণ শুরু করেন শ্রমিকরা। অনিয়মের বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হওয়ায় স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা কাজ বন্ধ করে দেন।
নয়াবাজারের ব্যবসায়ী ও সদর উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার তারেক আহমদ বাবুল জানান, প্রায় একবছর ধরে ড্রেন নির্মাণের কাজ বন্ধ রেখেছেন ঠিকাদার। কাজ সম্পূর্ণ করতে ঠিকাদারের লোকজনকে বারবার তাগিদ দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা কাজ শুরু করেন। কিন্তু শ্রমিকরা ৬ ফুট প্রশস্ত ড্রেন নির্মাণ না করে পুরনো দেড় ফুটের ড্রেনের উপর ¯ø্যাবের ঢালাই দেন। উপরে ৬ ফুটের স্ল্যাব দেখলে কেউ বুঝতেই পারবে না নিচে ড্রেন মাত্র দেড় ফুটের। এই অবস্থা দেখে বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজন মিলে কাজ বন্ধ করে দেন।
বাবুল বলেন, যে জায়গায় ড্রেন নির্মাণে অনিয়ম করা হচ্ছিল সেটি তিনটি ড্রেনের সংযোগস্থল। এখানে দেড়ফুট ড্রেন করে উপর ঢালাই করে দেওয়া হলে বর্ষাকালে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো। ওই স্থানে ড্রেনের উভয় পাশে গার্ডওয়ালও নির্মাণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন বাবুল।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, আগে আখালিয়া নয়াবাজার এলাকায় খুব বেশি জলাবদ্ধতা হতো না। নতুন করে ড্রেন নির্মাণের পর থেকে বর্ষাকালে লোকজনকে জলাবদ্ধতায় মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। অথচ নতুন ড্রেনের কারণে এলাকা জলাবদ্ধতামুক্ত হওয়ার কথা ছিল। ড্রেন নির্মাণে ঠিকাদারদের অনিয়মের কারণে সমস্যা সমাধানের পরিবের্ত উল্টো আরও বাড়ছে বলে দাবি করেন তারা।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ জানান, ড্রেন নির্মাণে কোন অনিয়ম হচ্ছে না। মুল ড্রেনের পাশে একটি ড্রেনের কাজ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। শ্রমিকরা না বুঝে এই কাজ শুরু করেছিল। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এটা বন্ধ করে দিয়েছেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, ড্রেন নির্মাণে অনিয়মের বিষয়টি তার জানা নেই। এরকম কোন অভিযোগ সিটি করপোরেশনে আসেনি। তবে তিনি নয়াবাজার এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখতেছেন। কাজে কোন ধরণের অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।