1. mdjoy.jnu@gmail.com : admin : Shah Zoy
  2. satvsunamgonj@gmail.com : Admin. :
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৫ অপরাহ্ন
  •                          

হাওরাঞ্চলের কথা ইপেপার

ব্রেকিং নিউজ
ধর্মপাশা ও মধ্যনগর হাওরের ১৩ টি সুইজ গেইটের মধ্যে ১১ টি নষ্ট ফসল হানির আশংকা বিশ্বম্ভর পুরে ইরা সংস্থার মালালা ফান্ডের মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষায় আর্থিক সহায়তা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত গোলাপগঞ্জের হামলার ঘটনায় এসপি মান্নান কারাগারে সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্তে প্রায় দেড় কোটি টাকার চোরাই মালামাল জব্দ সিলেট বিভাগে ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ের ওসি এখনো বহাল থেকেইে দায়িত্ব পালন সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে জামায়াতের প্রার্থীদের তালিকা চুড়ান্ত ধর্মপাশায় বিশেষ অভিযানে ১৯ টি ভারতীয় গরু সহ গ্রেপ্তার ৫ সুনামগঞ্জে নদীপথে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ছাতকে ইউকে প্রবাসী ভলিবল চ্যাম্পিয়নশীপ সম্পন্ন নৌপথে চাঁদা বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন

সিলেট সীমান্তজুড়ে চোরাচালাণের স্বর্গরাজ্য ধরা ছোঁয়ার বাইরে মুল হোতারা

Reporter Name
  • আপডেট করা হয়েছে বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি:

সিলেট সীমান্ত  যেনো চোরাকারবারীদের র্স্বগরাজ্যে পরিনত হয়েছে এবং ধরা ছোঁয়ার বাইরে মুল হোতারা।  প্রায় প্রতিদিনই সিলেটের কোন না কোন সীমান্তে জব্দ করা হচ্ছে কোটি টাকার ভারতীয় চোরাচালানী পণ্য। বাংলাদেশ থেকেও যাচ্ছে বিভিন্ন পণ্য। মাঝে মধ্যে ধরা পড়ছে চোরাকারবারের সাথে জড়িতরা বহনকারীরা। গেল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতারা জড়িত ছিল এবং ৫ আগষ্টের পর আওয়ামীলীগ চলে গেলেও গডফাদারদের লেবাস পরিবর্তন হলেও থেমে নেই চোরাকারবারীদের দৌরাত্ম। ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে মূলহোতারা।

সচেতন মহল বলছে, চোরাকারবারে অধিক মুনাফা হওয়ায় বিশাল বিশাল চালান জব্দের পরও এ পথ ছাড়ছে না চোরাকারী সিন্ডিকেট চক্রটি। ভারত থেকে এসব পণ্য চোরাই পথে বাংলাদেশে আসায় একদিকে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব, অন্যদিকে সীমান্ত জুড়ে বাড়ছে অপরাধ। আর সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বলছে সীমান্তে তৎপরতা বাড়ানোর ফলে চোরাচালান জব্দের পরিমাণ বেড়েছে।

সিলেট বিভাগে চার জেলা সিলেট সুনামগঞ্জ হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার সাথেই রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সীমান্ত এলাকা। এসব সীমান্তে  রয়েছে দূর্গম এলাকাও। এর সুযোগ নিয়ে এসব সীমান্ত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চোরাকারবারিরা। সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানিগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর  বিয়ানিবাজার, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর ও চুনারুঘাট, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, জুড়ি, বড়লেখা, কমলগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ জেলায় তাহিরপুর, বিশ্বরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক সীমান্ত যেন ভারত থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে পণ্য আনার নিরাপদ রুট। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে চিনি, পেয়াজ, রসুন, মসলা, শাড়ি-কাপড় থেকে শুরু করে সবধরনের ফল।

গত ১ বছরে সিলেটের বিভিন্ন সীমান্তে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ করেছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবি। যা এর আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চোরাই পণ্যের সাথে মাঝেমধ্যে ধরা পড়ছে চোরাকারবারিরা। তবে আইনের ফাঁকফুকোরে কিছুদিনের মধ্যেই মুক্তি হয়ে আবারও জরাচ্ছে চোরাকারবারে। ফলে ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে যাচ্ছে মূলহোতারা। এছাড়া ভারতে পণ্যে দাম বাংলাদেশের তুলনায় দাম হওয়া অধিক মুনাফর লক্ষ্যে সীমান্তের মানুষ চোরাচালানে লিপ্ত হচ্ছে। তবে তার সবাই কারো না কারো জন্যে কাজ করে।

শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আশরাফুর রহমান জানান, সীমান্তে বসবাস করা মানুষের দারিদ্র্যতার সুযোগ নিয়ে একটি চক্র এসব কাজ করাচ্ছে। এছাড়া সংশ্লিষ্টদেরও সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। ভারত থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে এসব পণ্য বাংলাদেশে আসায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। অন্যদিকে সীমান্তে অপরাধ। চোরাচালান বন্ধে সীমান্তের মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার পরামর্শ তার। সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বিজিবি বলছে, সীমান্তে টহল, জনবল, তৎপরতা বাড়ানোর কারণে বেড়েছে পণ্যে জব্দের পরিমাণ।

বিজিবির উপ-মহাপরিচালক কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানান, দূর্গম এলাকায় প্রতিকূলতার কারনে অনেক সময় পণ্যের সাথে চোরাকারবারিদের আটক করা যায় না। চোরাকারবারিদের নিরুৎসাহিত করতে সীমান্তে  বিজিবির প্রচারণাও চালানো হচ্ছে প্রতিটি সীমান্ত এলাকায়। ভারতের সাথে সিলেটের সীমান্ত দিয়ে পণ্য আনা নেওয়া সহজ হওয়ায় চোরাকারবারিরা এ রুটকে বেছে নিয়েছে। যে যে রুটে পণ্য আসে সেসব জায়গা চিহ্নিত করে চোরাচালান বন্ধে কাজ করছে বিজিবি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন