স্টাফ রিপোটার:
সিলেট চাঞ্চল্যকর চিনি কান্ডে ছাত্রলীগের নেতারা জড়িত থাকার অভিযোগে বিভাগ জুড়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। জেলা ছাত্রলীগের নেতারা চিনি চোরাই কান্ডে জড়িত থাকায় অন্যান্যদের নিয়ন্ত্রন করতে পারছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাই চিনি লুটের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাদের জড়িত থাকার ঘটনায় সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল করেছে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ।
শুক্রবার (১৪ জুন) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সিলেটের এই দুটি ইউনিটকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত হওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখা, সিলেট এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বিয়ানীবাজার পৌর শাখা, বিয়ানীবাজার, সিলেট এর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুন চিনি বহনকারী ট্রাক সিলেট থেকে জকিগঞ্জ যাওয়ার পথে চারখাই এলাকায় লুটের শিকার হয়। লুট হওয়া ৪০০ বস্তা চিনির মূল্য ২৪ লাখ টাকা। এ ঘটনার সঙ্গে বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগের নেতারা জড়িত থাকার অভিযোগ উঠার পর দেশ জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় পুলিশ দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার, ৮০ বস্তা চিনি ও একটি পিকআপ আটক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
এ পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে চিনি লুটের ঘটনায় বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সহ—সভাপতি সফিউল্লাহ সাগরের সঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক তাহমিদের মোবাইল ফোনে কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। ৬ মিনিট ২ সেকেন্ডের ফোনালাপে লুট হওয়া চিনি কীভাবে ভাগভাগি করা হয়েছে, কারা নিয়েছেন, উদ্ধার করা যাবে কীভাবে, তা সবই বলা হয়েছে।
চলতি বছরের ১১ মার্চ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখায় জুয়েল আহমদ শিপুকে সভাপতি ও জাহিদুল ইসলাম তাহমিদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। অপরদিকে পৌর শাখায় আশরাফুল আলম সাকেলকে সভাপতি ও রেদওয়ান আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭৩ সদস্য বিশিষ্ট পৌর কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। প্রায় দুই দশক পর বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগের কমিটি দেয়অ হয়েছিল।