বদরুল ইসলাম চৌধুরী হাসান: তারা সব পারে— সিলেটের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণকারীদের ব্যাপারে এমন মন্তব্য করলেন একজন পথচারী। শুক্রবার নগরীর ব্যস্ততম জিন্দাবাজার পয়েন্ট অতিক্রমকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি। শুধু তিনিই নন, এমন মন্তব্য দেশের আপামর জনসাধারণের। কারণ, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরে সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পর কার্যত গত দুইদিন ধরে দেশে কোনো সরকার নেই। স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তাহীন পুলিশ প্রশাসনও মাঠে নেই, নেই ট্রাফিকও।অথচ প্রায় প্রতিদিনই সিলেটের রাজপথে বাড়ছে যানবাহন ও জনসংখ্যা।
এ অবস্থায় জনগনের স্বস্তি ও যাতায়াত স্বাভাবিক রাখতে আনসার বাহিনীর সাথে সাথে দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে বিজয়ী শিক্ষার্থীরা।তাদের সাথে এক হয়ে কাজ করছে সিলেট হকি একাডেমি তারা মঙ্গলবার থেকে সিলেট মহানগরীর প্রায় সব পয়েন্টে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে।
বাঁশি বাজিয়ে যানবাহনের পথ করে দিচ্ছে। কখনো থামাচ্ছে, কখনোবা চলার নির্দেশনা দিচ্ছে। নড়ছে তাদের হাতগুলো।শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে নগরীর জিন্দাবাজার পয়েন্টে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কয়েকজন ছাত্রী ও হকি একাডেমির সদস্যরা আছে। শুধু জিন্দাবাজার নয়, আম্বরখানা, , সিটি পয়েন্ট, কোর্ট পয়েন্ট, নাগরি চত্ত্বর, লামাবাজার, রিকাবিবাজার, বন্দরবাজার, সুবহানীঘাট, উপশহর পয়েন্টসহ নগরীর সব পয়েন্টেই তারা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে চমৎকার সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছে।তাদের এমন তৎপরতায় সার্বিক সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সিলেট সিটি করর্পোরেশনের কয়েকজন কাউন্সিলর।
দুপুরের দিকে তারা বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্বপালনরত শিক্ষার্থী ও আনসার এবং সিলেট হকি একাডেমির সদস্যদের হাতে কোমলপানীয় ও জুস তুলে দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের এমন তৎপরতায় মুগ্ধ আরেক পথচারী এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন, এদেশের সব অর্জন এসেছে শিক্ষার্থীদের হাতধরে। এবারও তারা সফল হয়েছে। এখন কি সুন্দর ট্রাফিক ব্যবস্থাও নিয়ন্ত্রণ করছে।