জিএম কাদের বলেন, আমরা গত সংসদে বিরোধীদল ছিলাম। দেশ ও জাতির কল্যাণে সবসময় বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করেছি। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করেছি এবং আমাদের সুপারিশসহ অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরেছি। এখনো আমাদের রাজনীতি ওটাই।
জিএম কাদের বলেন, বর্তমান সংসদে প্রধানত দুটি দল। একটা আওয়ামী লীগ। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে তারা সরকার গঠন করেছে। আর ১১ জন সদস্য নিয়ে আলাদা একটি রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি। সে কারণে আমরা মনে করি, সরকারের বিরোধীদল হিসেবে জাতীয় পার্টি একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে সরকার যদি সেরকম অবস্থান নাও দেয় তবু আমরা দেশ ও জাতির কল্যাণে সরকারের বিরুদ্ধে একমাত্র দল হিসেবে সমালোচনা করা। সরকারের খারাপ জিনিস তুলে ধরা এবং সুপারিশ দিয়ে সরকারকে সহায়তা করে সঠিক পথে পরিচালনা করবো।
জিএম কাদের বলেন, যেহেতু বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচন স্পিকারের আওতাধীন। আমাদের জানা মতে সার্বিকভাবে এটা আমাদের পাওয়ার কথা।
জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিজেকে বিরোধীদলীয় নেতা, আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে উপনেতা ও মুজিবুল হক চুন্নুকে চিফ হুইপ মনোনীত করে রেজুলেশন করে স্পিকার বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।
দল ভাঙার বিষয়ে জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের শিকার। সরকার থেকে চলে আসার পর (১৯৯১ সালের পর) থেকে বিভিন্ন সময়ে অনেক ধরনের ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। সেটাকে বিভিন্নভাবে নষ্ট করতে তার প্রতিপক্ষরা চেষ্টা চালিয়েছে। এখন যে ভাঙনের কথা বলা হচ্ছে তার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
বিরোধীদলের ভূমিকা পালন প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, আমরা বিরোধীদল হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। সংখ্যাটা বড় কথা নয়। আমরা খুবই আশাবাদী যে, যদি ভূমিকা রাখতে চাই আন্তরিকভাবে করতে চাই। দেশ ও জনগণের স্বার্থে বিরোধীদলের যে ভূমিকা হবার কথা সত্যিকার অর্থে আমরা সফলভাবে সেটা পালন করতে সক্ষম হবো।
এসময় রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।